নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট শেষে ফেরার পথে ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে এক নারী আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম রিতা আক্তার। সোমবার (১ লা এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁয়ে চরহোগলা এলাকায় মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে রিতার মরদেহ ভেসে ওঠে। এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ-চরহোগলা এলাকার মেঘনা নদীতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য, ১ মাদরাসা শিক্ষক ও ১০ জন আনসার সদস্যসহ প্রায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও ইউসিবি ব্যাংক মেঘনাঘাট শাখার ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া ও নারী আনসার সদস্য রিতা আক্তার নিখোঁজ হন। রিতার লাশ পাওয়া গেলেও বাকি দুজনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার শম্ভূপুরা ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরকিশোরগঞ্জ-চরহোগলা এলাকার চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা শেষে কেন্দ্র থেকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদে ফিরছিল। ট্রলারটি মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে এসে পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
এতে আহত হন পুলিশ সদস্য নুরুল ইসলাম (নায়েক), কনস্টেবল আরিফ, ওয়াকিল ইসলাম (পিসি), মাদরাসা শিক্ষক রুহুল আমিন, আনসার সদস্য ফরিদ, তাহের, হিমেল, রসিদ, মানিক মিয়া, আবু দেলোয়ার হোসেন, খাদিজা বেগম, আকলিমা, রাজিয়া, ট্রলারের মাঝি শাহ পরানসহ প্রায় ১৭ জন। এরা সবাই সাঁতরিয়ে নদীর তীরে ওঠেন।
এ সময় ওই ট্রলারে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া ও নারী আনসার সদস্য রিতা নিখোঁজ হন। পরে সোমবার সকালে চরহোগলা এলাকায় মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে রিতার লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান মনির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসারসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। নিখোঁজ ওই ২ জনকে উদ্ধারে কাজ চলছে।