নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক দলীয় হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় মাহফুজুর রহমান কালামের নাম ছিলো সবার উপরে। কিন্তু এরপরেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এনিয়ে শনিবার (২ মার্চ) রাতে মাহফুজুর রহমান কালাম তার ফেসবুক পেজে একটি আবেগময় স্ট্যাটাস দেন। যা কিছুক্ষনের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।
স্ট্যাটাসে মাহফুজুর রহমান কালাম লিখেন-সোনারগাঁয়ে নৌকার মাঝি হওয়ার যোগ্যতা হলো : যারা সারাজীবন ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগ করেছে তাদেরকে অম্লীগার বলে তিরষ্কার করা। ২০০১ সালে নৌকা প্রতীক না পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালাগালি করা। নৌকায় লাথি মেরে নৌকা ভেঙে ফেলা। নৌকার তোরণ পুরিয়ে দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিস্কার হওয়া। ২০০৮ সালের ১/১১ এর সময় মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য তথাকথিত সু-শাসনের জন্য সংস্কার” এর নামে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে রাজনীতি থেকে বিতারিত করার জন্য জনমত সৃষ্টি করার লক্ষে সভা-সেমিনার করা। ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর জাতীয় নিবার্চনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেই নৌকা প্রতীক পাওয়া যায়।
আর অযোগ্যতা হলো : ছাত্রজীবনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে বারবার হামলা, মামলার স্বীকার হওয়া। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সারের দাবিতে তৎকালে ১৭জন কৃষক কে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং মাগুরায় ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে যেয়ে বারবা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করা। ২০০১-২০০৬ বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আন্দোলন করতে যেয়ে রেকার পোড়া মামলার ১ নম্বর আসামি হওয়া। এস আই হত্যা মামলার ১নম্বর আসামি হওয়া। ৪টি দ্রুত বিচার মামলার ১ নম্বর আসামি হওয়া। পুলিশ বাদী ১৪টি মিথ্যা মামলার আসামী হওয়া। যার সর্বশেষ স্বীকার আমার ৭৫ বছর বয়সী মা। ২০০৩ সালে আমার মায়ের বালিশের নিচে ভাঙা একটি পাইপগান দিয়ে মিথ্যা অস্ত্র মামলা সাজিয়ে সারারাত আমার মা কে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। তখনই আমার মা ব্রেইন স্ট্রোক করেন। সেই থকে অদ্যাবধি তিনি প্যারালাইসড অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আমার ছোট ভাই মাসুমকে ৫ বার গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে কোমড়ের হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছে। যার কারনে এখনো সে ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না। আমার এসব অযোগ্যতার জন্যই আমি আজ নৌকার অযোগ্য।