খানপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত-২, গ্রেফতার-১

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহরের খানপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সরদার পাড়া ও মাছুয়াপড়াস্থ এলাকার দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মাহফুজ উদ্দিন পরশ (৩০) ও দ্বীন ইসলাম (২৫) নামের দুই যুবক গুরুতর আহত হয়।

আহতরা খানপুর ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। পরে আহত পরেশ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গতকাল এজহারভুক্ত হয়েছে। এই ঘটনায় মো. আমির (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মামলার বিবরনে জানাগেছে, খানপুর মাছুয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার পুত্র আরমান, মৃত গিয়াসদ্দিন সরকারের পুত্র সোহেল, মৃত বাদল মিয়ার পুত্র জুম্মন, হাফিজ উদ্দিন ঝর্নার পুত্র রাশেদ, মৃত মান্নানের পুত্র মাসুম, মৃত ওমর সর্দারের পুত্র বিপ্লব সহ জসিমউদ্দিন মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছে। এ নিয়ে সমাজের লোকজন তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় মাহফুজ উদ্দিন পরশ ও দ্বীন ইসলাম মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সমাজের লোকজনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করায় ঘটনার রাতে তাদের একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরবর্তিতে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। থেমেথেমে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রনে পরিস্থিতি আনে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, মাছুয়াপাড়া এলাকার একটি ক্লাবে পরশ ও দ্বীন ইসলাম সহ কয়েকজন মিলে তালা দিয়ে দিলে এই ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। প্রতিপক্ষদের দাবী এই ক্লাব তাদের বাড়ির সামনে তাই এই ক্লাব এর নিয়ন্ত্রন তাদের আওতায় থাকবে। পরশ ও দ্বীন ইসলাম আধিপত্য বিস্তার করে এই ক্লাব দখল করার জন্য তালা দিয়েছে।

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মাছুয়াপাড়া এলাকার এই ক্লাবটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল । তাই বিষয়টির জন্য ১১ নং ওয়ার্ড এর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাইকে  সমাধান করে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। বিষয়টি তিনি যদি সমাধান করে দিতেন তবে এই ঘটনার সৃষ্টি হতো না।

অপরদিকে ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, গত মাসে এই ব্যপারে সাজনু আমাকে মোবাইল করেছিল। আমি তখন ঢাকায় ছিলাম, বলেছিলাম দুইজনে মিলে সমাধান করে দিব। এরপর সাজনুর সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি।

এদিকে প্রতিপক্ষ আরমান, সোহেল সহ কয়েকজন জানান, জাতীয় নির্বাচনে মোবাইলে নির্বাচনি আইডি বের করাকে কেন্দ্র করে ওই পক্ষের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। ওই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমির, রকমত, বাবুল সহ অনেকে রোমান সাইফুল স্মৃতি সমাজ কল্যান সংসদে তালা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটানাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তারা ক্লাবটি ভাংচুর করে। এদিকে রাতেই এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় খানপুর রেল লাইন থেকে আমির নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সদর মডেল খানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানায়, শুক্রবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে আহত পরশ অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত