নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আজ ৩০ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ভোটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে নারায়ণগঞ্জ।
সকালে বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও অস্ত্রধারী আনসার বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনীকে দেখা যায় । এ ছাড়া্রও ৩০ তারিখ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার প্রতিটি থানার পুলিশসদস্য, গোয়েন্দা সংস্থ্যার সদস্যসহ আইনশৃংখলাবাহিনীর সকল সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থানা থেকে ৭টি মোবাইল টিম মাঠে আছে। নির্বাচনে যেন কোন প্রকার অবৈধ্য অস্ত্র, টাকা, নেশা জনিত দ্রব এবং বিভিন্ন অবৈধ্য জিনিস নিয়ে শহরে প্রবেশ করতে নাপারে তার জন্য প্রবেশ পথে ২টি এন্ট্রি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে । চেকপোষ্ট দুটি বসানো হয়েছে সাইনবোর্ড এলাকায় ও শহরে আইটি স্কুলের সামনে। জেলার প্রতিটি থানায় এমন করে চেকপোষ্ট ও মোবাইল টিম নামানো হয়েছে ।
নগরী গুরুত্বর্পূন স্থানগুলোতে আইনশৃংখলাবাহিনীর কোঠর নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রয়েছে । নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে ৭৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৮ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে একটু বেশিই নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে নির্বাচন কমিশন থেকে ।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ১২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ১১৩টি কেন্দ্রের ৪০টি কেন্দ্র , নারায়ণগঞ্জের-৩ ( সোনারগাঁও) আসনে ১১৮টি কেন্দ্রের ৫২টি কেন্দ্র , নারায়ণগঞ্জের-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে ২১৬ টি কেন্দ্রের ১৬৭টি কেন্দ্র ও নারায়ণগঞ্জের-৫ (সদর-বন্দর) আসনে ১৭১টি কেন্দ্রের ১০৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্র্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের নজরদারী জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে কালাপাহাড়িয়া, বক্তাবলি এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারী জোরদার থাকবে বলে ২৯ ডিসেম্বর শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ এ সকল কথা জানান।
তিনি অরো জানান, নির্বাচনের দিন জেলায় আনসার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচটি টিম কাজ করবে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ইতিমধ্যেই ১৬৯৯ জন পুলিশ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জে ৩০ প্লাটুনে সাড়ে ৪৫০ বিজিবি, ৪০০ সেনাবাহিনী, ৮ হাজার আনসার, গ্রাম পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। রয়েছে ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও।
৭ থানায় ৭টি ও জেলা সদরে ২টি স্ট্রাইকিং পার্টি এবং স্ট্যান্ডবাই পার্টি মোতায়ন থাকবে। পাশাপাশি ৩১টি মোবাইল পার্টি জেলা মোতায়েন করা হয়েছে ।
এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৫ জন ও অস্ত্রসহ তিন থেকে চারজন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন কমপক্ষে দুজন। পাঁচটি উপজেলা সেনাবাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া এসব এলাকার বাইরে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৪ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ একজন, আনসার ১২ জন ও গ্রাম পুলিশের দু-একজন সদস্য নিযুক্ত থাকবে।