নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারয়নগঞ্জ-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস.এম আকরাম বলেছেন, সেলিম ওসমান সাহেব বার বার বলছেন যে, আমি নাকি উস্কানি দিচ্ছি। কিন্তু আমি কোন উস্কানি দিচ্ছি না। বরং তিনি আমাকে অশ্লীলভাবে আক্রমণ করছে। আমার অনেক এলাকার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। আমার কাছেও অনেক ইয়াং জেনারেশন বলছে যে আমরাও পাল্টা কাজ করি। কিন্তু আমি তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছি এসব না করতে। কারণ এটা করলে তাদের মতই আমার চরিত্র প্রকাশ পাবে। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের থানা পুকুরপাড় এলাকায় নিজ বাসার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি শংকিত তবে আমি ভোটের শেষ দিন পর্যন্ত দেখবো। এত সহজেই আমি ছেড়ে দেওয়ার মানুষ না। জনগন আমাকে ভোট দিতে চায়। তারা নিরব ভোট বিপ¬ব ঘটাতে চান। আর সেটা বুঝতে পেরেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিরা বিভিন্ন কেন্দ্র দখল থেকে শুরু করে আমার পক্ষে কাজ করা লোকজনদের একের পর এক মামলা দিচ্ছে। দেলোয়ার হোসেন চুন্নুকে ধরে নিয়ে গেছেন পুলিশ। অনেক চেষ্টা করেও আমরা তাঁর জামিন পাইনি। তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনও নাকি করা হবে। রিমান্ড হোক বা না হোক নির্বাচনের আগে তাকে জামিন দেয়া হবে না। আরও ২০-২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও নির্বাচনের আগে জামিন দেয়া হবে না। গ্রেপ্তারের আগেই মামলা পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়ে থাকে। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে ভাবমূর্তি ও আচরণ দেখানো হচ্ছে। একটা পর একটা মামলা দিয়ে হয়রানী, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না তারা আমার সাথে কাজ করতে পারছে না গ্রেপ্তার হবার আশঙ্কায়। তারপরও তারা আমার সাথে আছে।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বলেন, রিটার্নিং অফিসার ও সেনাবাহিনীকে আমি জানিয়েছি। তারা এখনও কিছু জানায়নি। আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। এছাড়া অন্যান্য কর্তৃপক্ষকেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা রিটার্নিং অফিসারের প্রতি সম্পূর্ণভাবে আস্থা আছে বলেও জানান এসএম আকরাম। সারা দেশেই এ অবস্থা চলছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্যান্য জায়গায় আরও খারাপ অবস্থা। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমার লাশ পড়ে গেলেও তোমরা ভোট কেন্দ্রে যাবে আর নিজেদের ভোট দিয়ে আসবে। আমাদের জোট নির্বাচন ছেড়ে যাবে না। আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর সেন্টু ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।