নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর শীর্ষ নেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যতই দিন যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ততই ভীতসস্ত্রস্ত ও নার্ভাস হয়ে পরছে। নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বাম জোটসহ বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয়দের হামলা, পোষ্টার ছিড়ে ফালানো, প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, গণগ্রেফতার সরকার ও সরকারি দলের নার্ভাসনেস এর বহি:প্রকাশ।
আবু হাসান টিপু বলেন, যদিও জিয়াউর রহমান ও হুসাইন মো. এরশাদ সেনাবাহিনীর কাধেই বন্দুক রেখে দেশের মসনদ দখল করে নিয়েছিল তারপরও জনগণের শেষ ভরসার স্থলই হলো সেনাবাহিনী। জনগণের অনেক বেশী আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সম্মানের এই প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে সরকার যদি তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসাবে সেনাবাহিনীকে বির্তকিত করে; তবে আগামী দিনের রাষ্ট্রের জন্য তা ভয়াবহ অশনি সংকেত বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, একথা সর্বজন স্বীকৃত যে, প্রচলিত রাষ্ট্র কাঠামোতে সরকারের ইচ্ছা ও আকাংখার বাইরে সেনাবাহিনীর এক কদম হাটারও সুযোগ নেই, তথাপি জাতীর এই চরম সংকটে সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকাতে অবতির্ন হবেন জনগণ এই প্রত্যাশাই করে।
আবু হাসান টিপু বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসাবে তার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারিয়েছেন। তাদের পক্ষপাত মূলক নিস্ক্রিয়তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমন কি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যেই সরকারি দলের হয়ে কাজ করছে। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে প্রশ্ন বিদ্ধ হবে তা প্রায় পরিষ্কারই বুঝা যাচ্ছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী জননেতা কমরেড মাহমুদ হোসেন এর নির্বাচনী প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত পথসভাতে আবু হাসান টিপু এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে চিত্তরঞ্জন এলাকাতে মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পথসভাতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা হাবিবুর রহমান আঙ্গুর, খোকন রাজ, আবুল হোসেন, স্বপন মিয়া প্রমূখ।