না.গঞ্জ-৩ আসনে নতুন ভাবে আশার আলো দেখছেন কায়সারের সমর্থকরা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও সংবাদ দাতা ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে না.গঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে যেন উৎকন্ঠা আর স্নায়ুচাপ কমছেনা। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই অনিশ্চয়তা ও নতুন নতুন আশার আলো উকি দিচ্ছে অত্র আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি ও সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার সহ তার সমর্থকদের জন্য। জাপার প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে মনোনয়ন দেয়া হলেও এবার জাপাকে ছাড় দিতে নারাজ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ সহ যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আবারও জনসমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে বলে মনে করছেন তারা এবং এজন্য দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন তারা জাপা বা বিএনপিকে দিতে চাইছেনা।

তা ছাড়া বিপুল জনসমর্থন ও কর্মী সমর্থক থাকা সত্তেও কায়সারকে নৌকা প্রতীক না দেয়ায় এবং জাপার প্রার্থী অনভিজ্ঞ ও বিএনপি অপেক্ষা দূর্বল বিধায় আসনটি বিএনপি’র দখলে চলে যেতে পারে বলে আশংকা করছে নেতা-কর্মীরা। এদিকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীদের অনুরোধে কায়সার গেল বুধবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা কেউ মানবে কিনা সেটা প্রশ্ন থেকেই গেল। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তা ছাড়া শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন কায়সার।

এদিকে মহাজোট থেকে জাপার জন্য বরাদ্দ করা ২৫টি আসনে যেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেয়া হয়নি এমন তালিকায় না.গঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী সেলিম ওসমানের নাম থাকলেও না.গঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের প্রার্থী খোকার নাম না থাকায় কায়সারের কর্মী সমর্থকরা নড়ে-চড়ে বসেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নির্বাচন বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খাঁন লিটন ও কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহাবুব পারভেজ জানান,  সোনারগাঁয়ে খোকার কোনো ভোট ব্যাংক নেই। তিনি ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দি ছিলনা বিধায় তিনি সংসদ সদস্য হতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার আর খালি মাঠে তাকে গোল দিতে দেওয়া হবে না বলে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আমাদের মূল লড়াইটা হবে মান্নানের সাথে। সোনারগাঁয়ের মুষ্টিময় কয়েকজন ছাড়া আর কোনো মানুষই লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে মাঠে থাকবেনা। নির্বাচনের হাওয়া পাল্টে গেলে যে সকল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার কাছে আছে তারাও শেষ পর্যন্ত তার সাথে থাকবেনা। আমরা কায়সার হাসনাতকেই নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি যোগ্য, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে ঘাটে নৌকার প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে নৌকায় ভোট দিতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিপক্ষ বিএনপির হেভীওয়েট প্রার্থী রেজাউল করিমকে ৮২,৫৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকা প্রতীক না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি জয়ী হবেন ইনশাল্লাহ।

মনোনয়ন জমাদানের পূর্বে গণমাধ্যমকে আব্দুল্লাহ আল কায়সার জানিয়েছেন, জনসমর্থন না থাকলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়না। বিএনপির প্রার্থী অপেক্ষা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জনসমর্থণ কম বিধায় আসনটি মহাজোটের নয় বরং বিএনপির দখলে চলে যাবে। নিজে কিছু অর্জন করা নয় বরং নেতা-কর্মীদের দাবীর মুখে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগকে বিলীন হওয়া থেকে বাঁচাতে প্রার্থী হয়েছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত