নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, উনারা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা প্রতীকের দাবী করেছিলেন। আমি নিজেই সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনেই নৌকা প্রতীক দাবী করেছিলাম এবং সেটাই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আগামীতে নারায়ণগঞ্জে ৫ আসনেই নৌকা প্রতীক হবে এবং আমি নিজেও নৌকার পক্ষে কাজ করবো।
বৃহস্পতিবার ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও বন্দর থানা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে পৃথক ভাবে মেরাথন মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার মাঠ কর্মী নিয়ে ডিজিটাল ফরমেটে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান।
তিনি আরো বলেন, এমনকি আমার রাজনৈতিক গুরুও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার ভাই। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে আমি সহ আওয়ামীলীগ থেকে ১২ থেকে ১৪জন মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। মহাজোট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী আমাকে মনোনীত করেছেন। আমি উনার নির্দেশনা অনুসরন করেছি। আমি বিশ্বাস করি উনারাও দলী সভানেত্রীর নির্দেশনা অনুসরন করবেন। অতীতে আমাদের যে ভুল হয়েছিল ভবিষ্যতে যাতে আর সেই ভুল না হয় সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই মিলে কাজ করবো।
ওই দিন সকাল ১১টায় মুছাপুর, ধামগড়, ও মদনপুর ইউনিয়ন, বিকেল সাড়ে ৩টায় কলাগাছিয়া ও বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও তাদের কর্মীবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থানা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন তিনি। প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের সাথে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২৫জন করে সক্রিয় কর্মী মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। পৃথক তিনটি মত বিনিময় সভায় প্রায় ৩ হাজার নির্বাচনী কর্মী অংশ নিয়েছেন।
মত বিনিময় সভা গুলোতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, প্রধান, যুব সংহতি নেতা শরীফ শাহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫৫ জন মেম্বার ও তাদের কর্মীবৃন্দ সহ জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।