গণহত্যার বেদনাবিধুর দিবসে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শ্রদ্ধা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) :  মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে একাত্তরের ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য বেদনাবিধুর দিন। এ দিন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার দুর্গম চরাঞ্চল বুড়িগঙ্গা নদী বেষ্টিত বক্তাবলীতে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। স্বাধীনতা যুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একসাথে এত প্রাণের বিয়োগান্ত ঘটনা দ্বিতীয়টি আর নেই। স্বজন হারানো ব্যাথা ও কষ্ট নিয়েও শ্রদ্ধার সাথে প্রতিবছরই পালিত হয় এই দিবসটি। এটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অত্যন্ত অর্থবহ একটি দিন।

এদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড -আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছেন। কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষে আলামিন প্রধান, নূর আলম আকন্দ, হোসাইন মো. রাসেল, অজিউল্লাহ, হেলাল মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ঘাতক দালাল নির্র্মূল কমিটির জেলা শাখার সভাপতি চন্দন শীলের পক্ষে সওদাগর খান, আলোকিত বক্তাবলী সংগঠনের সভাপতি নাজির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি, সাবেক আহবায়ক মাশফীকুর রহমান শিশির, শাহাদাৎ হোসেন আকাশ প্রমুখ।

সন্তান কমান্ডের পক্ষে আলামিন প্রধান বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও বক্তাবলীতে নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ফলে বক্তাবলীর বাসিন্দাদের রয়েছে ক্ষোভ। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ২০০৫ সালের ২৯নভেম্বর বক্তাবলীর কানাইনগর হাই স্কুল মাঠে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করলেও তাতে নেই শহীদদের নাম ফলক। অযত্ম অবহেলায় স্মৃতিস্তম্ভটির বেহালদশা দেখে হতাশ হয়েছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত