নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জে গোয়েন্দা (ডিবি ) পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৯ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৬ জন আসামীর পরিবারের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
আসামীর পরিবারের দাবি, যে সকল ব্যাক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে তারা মাদক ব্যবসায়ী নয়। তারা প্রত্যেকে হোসেয়ারী ব্যবসায়ী। তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে পৃথকভাবে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। তাছাড়া তাদেরকে ১১ নভেম্বর রবিবার ৩ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয় হয়।
আমরা ডিবি অফিস ঘেরাও করেছিলাম। তারা আমাদেরকে বের করে দেয়। এরপর আমরা এসপি অফিসে যাই এবং এসপি বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি ও গ্রেফতারকৃদেরকে ছেড়ে দেয়ার দাবী জানান তারা। গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের ভাষ্য, তাদের কাছ থেকে গ্রেফতারকৃত ছেড়ে দেয়ার কথা বলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই কিস্তিতে প্রথমে ৮ লক্ষ ও রবিববার সকালে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেয় ডিবির কর্মকর্তারা। এরপর অন্যান্যদের কাছ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত আদায় করে।
এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা ডিবি অফিস ঘেরাও করে হৈ চৈ শুরু করে। পরে তাদেরকে কোর্টে গিয়ে যোগাযোগ করতে বলে ডিবির এএস আই আজিজ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দাবি, ১০ নভেম্বর শনিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি বাঁধন মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদেরৃথক পৃথকভাবে দেহ তল্লাশি করে সর্বমোট ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হলেন, সুশান্ত সরকার (৩২) ও তার ভাই পরিমল সরকার (৪০)। তারা মুন্সিগঞ্জ জেলার পাঁচগাও এলাকার অমূল্য সরকারে ছেলে। নয়ামাটি এলাকার অর্চনা মার্কেটে সীমান্ত হোসিয়ারী নামে তাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো চাঁদপুর জেলার মতলব এলাকার নফসি ব্যাপারির ছেলে দাদন বেপারী (৩২), ফতুল্লা থানাধীন শিয়াচর এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে মো. ইয়াসিন (২৮), বন্দর থানার লেদার্স এলাকার অনীল সাহার ছেলে শীতল সাহা (৩০) ও পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে মিল্লাত আহম্মেদ (৩০)। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে ডিবি পুলিশ। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পরই ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায় গ্রেফতারকৃত ৬ আসামীর পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ডিবি সায়েম জানান, ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পত্রিকায়তো আসছেই। আমি কিছু বলতে পারবোনা। ইন্সপেক্টরকে কল দেন।