নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : একাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে এগুচ্ছেন সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এ লক্ষে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টেও নিজেকে যুক্ত করেছেন। তাই হঠাৎ করেই কদর বাড়তে শুরু করেছে সাবেক এই সাংসদের। বিএনপিসহ জোটবদ্ধ দলগুলোর স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা নিয়মিতই এখন যোগযোগ রক্ষা করছেন তার সাথে। এদিকে ইতোমধ্যেই সংলাপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপে বসবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যেখানে জেলা পর্যায়ে একজন সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন সাবেক এমপি এসএম আকরাম।
সূত্র বলছে, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে জেলা পর্যায়ে একজন করে সমন্বয়ক থাকবেন। নারায়ণগঞ্জে সেই সমন্বয়ক হতে পারেন নাগরীক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক এসএম আকরাম। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে আয়োজিত ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে কারা যাচ্ছেন সেই নামগুলো চূড়ান্ত করা হয়। গণভবনের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে দলনেতা হিসেবে থাকবেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্য থেকে এসএম আকরাম, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। নাগরিক ঐক্য থেকে থাকবেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। জেএসডি থেকে আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন, তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্ফফা আমিন, স্বতন্ত্র হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ।
এ প্রসঙ্গে এসএম আকরাম বলেছেন, গণভবনে সংলাপে আমার যাওয়ার বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। আমি যাবো কিনা এ সিদ্ধান্ত দিবেন ড. কামাল হোসেন। উনার নেতৃত্বেই আমরা কাজ করবো। আমাদের লক্ষ্য সুষ্ঠু সন্দুর একটা নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা সকলের মাঝে ঐক্য করেছি। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে যদি আমাকে মনোনিত করা হয় তবে, অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো তা পালন করতে।
উল্লেখ্য এস এম আকরাম ১৯৯৪ সালে অতিরিক্ত সচিব পদের চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলের চরম বিপর্যয়ের পর সংকটময় মুহূর্তে তাঁকে দলের আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের একটি আসন থেকে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে এ আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে তিনি পক্ষ নেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর। নির্বাচনে আইভী জয়লাভের পরদিন ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি জেলা আওয়মীলীগের আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি যোগ দেন মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যে। এরপর স্থানীয় রাজনীতিতে অনেকটাই নীরব ছিলেন এসএম আকরাম। রাজনীতিক সহকর্মীরা অনেকেই তার সাথে সেভাবে আর যোগাযোগ রাখেননি। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় রাজনীতিতে সেভাবে আর সক্রিয় দেখা যায়নি তাকে। ২০১৪ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত নাসিম ওসমান মারা যাওয়ায় উপ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লড়েন সেলিম ওসমান এর বিরুদ্ধে কিন্তু বিজয়ে ব্যর্থ হন।