নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা। আর বিদায়ের মূর্ছনায় বাজবে বিসর্জনের ঢাক। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অশ্বরের বিনাশ কল্পে দেবী দূর্গা এই ধরাধামে আবির্ভুত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন ।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর ) দেবী বির্সজন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ছিলো শারদীয় দুর্গোউৎসবের মহানবমী। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দল বেঁধে পূজা দেখতে আসছে। উৎসব প্রিয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় মেতে উঠেছে পূজার আনন্দে। মণ্ডপগুলো ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে। মন্দিরে মন্দিরে শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা ও ঢাকের বাদ্য।
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও জাকঁজমকপূর্ণভাবেই উদযাপিত হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবাচাইতে বড় উৎসব দুর্গা পুজা। জানা গেছে জেলায় ২০৩ টি মন্ডপ রয়েছে। আর শহরে সদরের আওতাধীন ৩৩টি মন্ডপ রয়েছে। আর এ পুজাকে কেন্দ্র করে সকল মন্ডপেই ছিলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গতকাল মহানবমীতে সরেজমিনে মন্ডপ গুলো ঘুরে দেখা গেছে, শহরের গলাচিপা রামকানাই আখরা মন্দির, কুড়িপাড়া মন্দির, পালপাড়া, আমলাপাড়া, নন্দিপাড়া, শাহা পাড়া, বলদেব মন্দির সহ বিভিন্ন মন্ডপে দেবী অর্চনায় ভক্তবৃন্দর উপচে পড়া ভীড়। শক্তির বিনাশে ‘মঙ্গলময়ী’ দেবীর জাগরণে জগতে সুর শক্তি প্রতিষ্ঠার প্রার্থনা করেন তারা।
এদিকে হঠাৎ করেই সড়কে সর্বসাধারণের চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও যত্রতত্র পার্কিং ও অবৈধ স্ট্যান্ডের দখলে ছিলো সড়কের অনেকাংশ। পাশাপপাশি যানজটে যান চলাচল স্থীর হয়ে যাওয়ায় ছিলো যানবাহন সংকট। বিভিন্নস্থানে কাঙ্খিত যানবাহনের জন্য যাত্রীদের লাইন ধরে দাড়িঁয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে দূর দূরান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দদেরকেও।
এ বিষয়ে পালপাড়া মন্দিরের র্কণদার ও পূজা কমিটির নেতা রিপন ভাউয়াল জানায়, এবারের পূজোতে আমরা সকলের সহযোগীতা পেয়েছি। বিশেষ করে মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা আমাদেরকে অনেক সহযোগীতা করেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিন রাত আমাদের নিরাপত্তার জন্য তৎপর ছিলো। মহানবমী হওয়ায় গতকাল থেকেই ভক্তবৃন্দরা আসছে। আজ বির্সজন। দেশ ও জাতীর মঙ্গল হবে এ কামনাই করি।