মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে জিরো টলারেন্সের অঙ্গিকার : পুলিশ সুপার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স ভুমিকায় রয়েছেন। কোন মাদকারবারি ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টদের ছাড় দেয়া হবে না। যারা মাদকের পক্ষে তদবির করেন হোক তিনি ক্ষমতাবান তাকেও মাদকের শেল্টারদাতা হিসেবে গন্য করা হবে। এছাড়াও পুলিশের কোন সদস্য মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়লে প্রথমে জেলা পুলিশকে জানাতে হবে। জড়িত প্রমাণিত হলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ছবিসহ প্রচার চালিয়ে তাদের ধরিয়ে দিলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়াও মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদরোধে সরকারকে সব রকম সহায়তা দেয়ার কথা জানান তিনি। এ সময় সরকারের দেয়া ৯৯৯ নাম্বারের জরুরী সেবা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার রূপগঞ্জে থানা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তিনি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের গ সার্কেল অঞ্চলের এএসপি আনিচ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম, বিপিএম(বার), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মনিরুল ইসলাম, আড়াইহাজার থানার (ওসি) এম এ হক, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, দেশের গ্যাজেটভুক্ত সমাজসেবক ও রূপগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি  লায়ন  মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হারেজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকু, জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান,সাংবাদিক মকবুল হোসেন , জিএম শহিদ, শফিকুল আলম ভুইয়া মামুন, আশিকুর রহমান হান্নান, এসএম শাহাদাত, জাহাঙ্গির আলম হানিফ, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জের যোগদানের পর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। জেলা কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মাদক, সন্ত্রাস, ও ডাকাতি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করা হয়েছে। এদের মাঝে পলাতকদের ধরিয়ে দিতে লিফলেট করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারী গ্যাজেট ভুক্ত সমাজসেবক লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন,  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার্থী পর্যায় থেকে  শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিশেষ  ভুমিকা নিতে হবে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ বলেন, মাদক ধরলেই প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ তদবির করে। ফলে মাদক রোধ করা যাচ্ছে না। এসব তদবির বন্ধ করলেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।

রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সাংবাদিক মকবুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জের রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুরি বন্ধ করে স্খানীয় উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। রূপগঞ্জকে মাদকমুক্ত করতে সকল শ্রেণি পেশার লোকজনকে একটেবিলে বসে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও জিহাদ ঘোষণা করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আনিচ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জ ভৌগলিকভাবে রাজধানীর নিকটের হওয়া,শতাধিক বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বেশকয়েকটি মহাসড়ক থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে  বিবেচনা করা হয়। ফলে সব বিষয় মাথায় নিয়ে পুলিশ প্রশাসন সজাগ ও তৎপর রয়েছে।

সভায় উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে জনসাধারণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেন পুলিশ সুপার। এসব প্রশ্নের মাঝে বেশির ভাগই মাদক ও জননিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় প্রাধান্য পায়।

add-content

আরও খবর

পঠিত