নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে কিটনাশক পান করে বর্ষা(২৫) গৃহবধূর আতœহত্যা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গৃহবধূ আতœহত্যার ঘটনার পর থেকে বাড়িঘর তালা বন্ধ করে স্বামী শশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা ধামগড় ইউপি জাঙ্গাল গ্রামের মৃত আহসানউল্লাহর ছেলে মরিুজ্জামান ৭ বছর আগে সোনারগাঁ ইমানেরকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে বর্ষা সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭ বছর সংসার জীবনে দুই সন্তান জম্ম হয়। এক ছেলে আলীম (৬) ও এক কন্যা নুসরাত(২)। এর মধ্যে বর্ষার পিতা জাহাঙ্গীর জামাতার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ধার নেয়।
ওই টাকা ২ বছরেও ফেরত দিতে না পারায় গত ৩-৪ মাস যাবত স্ত্রী বর্ষাকে চাপ সৃষ্টি করতো স্বামী মনিরুজ্জামান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। পিতার কাছ থেকে টাকা ফেরত আনতে গত মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে ও দুপুরে স্ত্রীকে তৃতীয় দফা মারধর ও অমানষিক নির্যাতন চালায় স্বামী মনিরুজ্জামান। স্বামী এ নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূ বর্ষা আতœহত্যার পথ বেচে নেয়। বুধবার রাতে বিষ ক্রিয়া জাতীয় (চাউলের পোকার বড়ি) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে গৃহবধূ বর্ষা। পরে মুর্মূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়। বর্ষা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়িঘর তালাবন্ধ করে স্বামী মনিরুজ্জামান ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, টাকার জন্য মেয়েকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো জামাতা। অমানষিক নির্যাতন সইতে না পেরে দুই সন্তানের জননী কিটনাশক পান করে আতœহত্যা করে। বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় আসেনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো ব্যবস্থা করছি।