নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ ( নগর প্রতিনিধি ) : স্বাধীনতার মাস মার্চ।লক্ষ জনতা ও শত মা বোনের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।লক্ষ লক্ষ ঘড় বাড়ী পুড়ে হয়েছ ছাই,সেই লক্ষ কোটি ঘরহারা মানুষের আহাজারি ও আত্নচিৎকারের বিনিময়ে জাতি পেয়েছে লাল সবুজের পতাকার সোনার বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সাহসী সৈনিক জেলার কৃতি সন্তান, সাবেক এমপি, নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক কমান্ডার মোঃসিরাজুল ইসলামের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যুবার্ষিকী। রণাঙ্গনের বীর সেনানী কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে কমান্ডার সিরাজ ফাউন্ডেশন ও স্মৃতি সংসদ।
নাসিক মেয়র বরাবর আবেদন করার পরও শহরের টানবাজারের মহীম গাংঙ্গুলী সড়কটি মরহুম কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের নামে নামকরণ না হওয়ায় গতকাল এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের রড় মেয়ে ফাউন্ডেশন ও স্মৃতি সংসদের সভানেত্রী শাহিনা ইসলাম মুক্তি। ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তি বলেন , অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীন বাংলাদের জন্ম,সেই দেশ আজ পরাধীনতা শেকলে বন্দি। গনতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ,অথচ সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে গনতন্ত্রের নামে প্রতিনিয়ন চলছে হত্যাযজ্ঞ। গনতন্ত্র রক্ষা,অধিকার আদায়, দেশ মাতৃকার রক্ষার সংগ্রামে যে সকল বীর সেনানী জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল তাদের অনেকেই আজ অবহেলিত,পাচ্ছে প্রকৃত মর্যাদা।
পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া জাতির বীর সেনানীদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে তিনি আরো বলেন, কমান্ডার সিরাজ শুধু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না।তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে রেসর্কোস ময়দানে ভাষন প্রদানকারী তুখোর ছাত্র নেতাও ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে নারায়নগঞ্জকে রক্ষায় ওনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। মাসদাইরে পাক হানাদারদের প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে স্বাধীনতার মাসে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দুঃখ, লজ্জা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহিনা ইসলাম মুক্তি জাতির কাছে প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে বলেন,তবে কোথায় কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের মর্যাদা?