নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : গত ৮ ফেব্রুয়ারী রূপগঞ্জ গন্ধর্বপুর এলাকার স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সুমন হত্যাকান্ড নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে সুমনের পরিবারের মধ্যেই দুইটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। মামলার পক্ষ-বিপক্ষে শুক্রবার বিকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গন্ধর্বপুর এলাকায় সুমনের মা-বাবাসহ আওয়ামীলীগের একটি পক্ষ মানববন্ধন কর্মসূচী করেছে।
অপরদিকে, সুমনের শাশুড়ী (মামলার বাদীনি), স্ত্রী ও শ্যালকের পক্ষ নিয়ে আওয়ামীলীগের একাংশ ভোলানাথপুর এলাকায় প্রতিবাদ সভা করেছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে আবারো রূপগঞ্জ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ, গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষ ও পুলিশ ত্রীমুখি সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সুমন নিহত হয়।
স্থানীয় এমপি সমর্থিত লোকজনের উদ্যোগে গন্ধর্বপুর এলাকার মানববন্ধনে সুমনের বাবা মনির হোসেন মনু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে কাঞ্চন ব্রীজ এলাকায় রফিক চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে তার লোকজন ও গানম্যান আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা ও গুলি চালায়। এতে তার ছেলে সুমন নিহত হয়। আমি অসুস্থ থাকার সুযোগ নিয়ে সুমনের শ^াশুরী কাজল রেখা স্বইচ্ছায় মামলার বাদী হয়।
সুমনের শাশুরী, স্ত্রী ও শ্যালক ভালো প্রকৃতির লোক নয়। এছাড়া শুরু থেকেই বাদী কাজল রেখাকে সন্দেহ হলে আমি সুস্থ হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারী মামলার সাথে একাত্ততা পোষণ করে রূপগঞ্জ থানায় জিডি করি। জিডি নং-৪৩৭। মোটা অঙ্কের টাকা ও প্রলোভনে সুমনের শাশুরী ও স্ত্রী আসামীদের সঙ্গে মিলে গেছে। ছেলে হত্যার বিচার পাওয়ার স্বার্থে নারায়ণগঞ্জ আদালতে গিয়ে মামলার বাদী পক্ষ হতে আবেদন করি। মাননীয় আদালত সেই আবেদন গ্রহনও করে।
ভোলানাথপুর এলাকার ৩০০ ফুট সড়কে উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ শাহজাহান ভূইয়ার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঘটনার পরতো সুমনের বাবা মামলা করতে রাজি হয়নি, পালিয়ে যায়। ঐ সময় তার শ^াশুড়ীকে জিম্মি করে মামলা দায়ের করে একটি পক্ষ। শাশুড়ী সত্য প্রকাশ করার কারণে সুমনের পিতাকে দিয়ে নতুন নাটক করার চেষ্টা চলছে।