নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামীলীগের জুয়েল, মোহসীন সহ ৬টি পদ জয়ী লাভ করেছে এবং বিএনপির ১১টি পদে নির্বাচিত হয়ে বিজয় অর্জন করেন। এ নির্বাচনে ৪৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট জহিরুল হক পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট।
সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। তিনি পেয়েছেন ৪৭৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাষানী ভুইয়া পেয়েছেন ৪১৬ ভোট। সমিতির কার্যকরী পরিষদে মোট ১৭টির মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১টি সম্পাদকীয় এবং ৩টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়লাভ করেছে অপর দিকে বিএনপি সমর্থিতরা ৯টি সম্পাদকীয় এবং ২টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়লাভ করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহন চলে। আইনজীবী সমিতির নিচতলায় ১২টি বুথে গোপন ব্যালটে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে মোট ৯২৭ ভোটের মধ্যে ৯১৩টি ভোট কাস্ট হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গননা। যদিও এই নির্বাচনকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা ছিল দুটি প্যানেলের প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মাঝে। তবে শেষ পর্যন্ত সকাল থেকে উৎসবমুখোর পরিবেশেই ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ১৭টি পদের জন্য আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে দুটি প্যানেল থেকে ৩৪ জন এবং একটি সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহনের সময় আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং সমিতি ভবনের পশ্চিমে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বসে ভোটারাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে। দুই প্যানেলের জন্য দুটি নির্বাচনী প্যান্ডেল তৈরী করে দেয়া হয়।
ভোটগ্রহনকে ঘিরে আদালত পাড়ায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মলিন মেলা ঘটে। দুই দলের নেতাদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে পুরো আদালত পাড়া। রাজনৈতিক মাঠে সাপে-নেউলে সম্পর্ক হলেও মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অনেকেই অনেকের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। একে অপরের পারিবারিক, শারীরিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। ভোটগ্রহনের সময় শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন নান্নু, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম।