নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ আহাম্মেদ জয় হত্যার নেপথ্যে সমিতির ব্যবসায়িক দ্বন্ধ প্রধান কারণ বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঐ সমিতির নারীসহ তিন জনকে আটক করেছেন পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়ালু এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। শিক্ষার্থী পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের হত্যাকারীদের খুজে বের করে গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রূপগঞ্জ। সোমবার বিকালে স্থানীয় শত শত জনতা ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেছেন এলাকাবাসী। উল্লেখ, নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর সোমবার দুপুরে বড়ালু এলাকার শীতলক্ষ্যা নদ থেকে পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মেঘনা সমবায় শ্রমজীবি সমিতিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষে লেখাপড়া করে আসছেন পারভেজ আহাম্মেদ জয়। ওই সমিতির মালিকানা পার্টনার হিসেবে ছিলেন পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের মামা রুবেল মিয়া। রুবেল মিয়া মালিকানা পার্টনার হিসেবে সমিতিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা রেখেছিলেন। অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার কথা কাটাকাটি হলে তিনি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে সমিতি থেকে চলে যান। সমিতির কাছ থেকে সে আরো ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। ওই টাকা উত্তোলনের জন্য মামা রুবেল ভাগিনা পারভেজ আহাম্মেদ জয়কে দায়িত্ব দেন। বেশ কয়েক বার পারভেজ আহাম্মেদ জয় সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মামা রুবেল মিয়ার পাওনা টাকার বিষয়ে হিসাব-নিকাশ চায়। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের বাকবিতন্ডাও হয়েছে। সমিতি অফিস সুত্র জানায়, রোববার রাতে অফিসে কর্মরত পারভেজ আহাম্মেদ জয়, শারমিন আক্তার, সোহাগ মিয়া, জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েক জন এক সঙ্গেই ছিলো।
নিহত পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের পরিবারের অভিযোগ, পারভেজ আহাম্মেদ জয়কে শ্বাসরোধে হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে সমিতির পেছনের শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, পারভেজ আহাম্মেদ জয়ের হত্যাকারীদের খুজে বের করে ফাঁসির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার বিকেলে বড়ালু এলাকায় মানববন্ধন কর্মসুচী শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবেন। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আশা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।