নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: হকার যেখানেই বসুক, মানুষের প্রয়োজন হলে মানুষ সেখানে যেতে বাধ্য। আমরা সেই ছোট থেকে এখনও বঙ্গবাজার কিংবা ঢাকা হকার্স মার্কেটে যাই। তবে হকাররা ভিন্ন কোনো স্থানে বসলে মানুষ কেনো যাবে না!’ ২৫ ডিসেম্বর থেকে শহরের হকারদের ওপর কঠোর নজরদারি শুরু হলে হকাররা মেয়রের কাছে স্বারকলিপি নিয়ে যান ৩১ ডিসেম্বর তখন মেয়র আইভী উপরোক্ত কথাগেুলো বলেন।
মেয়রের ওই কথার মিল পাওয়া গেল শুক্রবার। সকাল ১০টা, প্রেসিডেন্ট রোড, প্রেস ক্লাবের গলি কিংবা শহরের বন্ধ মার্কেটগুলোর সীমানা ঘেষে বসছে হকার। দেখে যে কারোই হয়তো মনে হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিবি রোড ফিরছে তার চির চেনা রূপে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায় আজব চিত্র। সামান্য কিছু অংশের ফুটপাত ছাড়া জনগণের খুব বেশী চলাচলের সমস্যা করেনি হকাররা। যেনো কয়েকদিনের শাস্তি বদলে দিয়েছে তাঁদের চরিত্র। তবে যে সকল গলিতে হকাররা বসেছেন সেই গলির বাসিন্দদের অনেকেই বলেছেন এই যন্ত্রণার নিস্তার চাই।
অন্যদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় হকারদের কাছে আসা ক্রেতার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সমবায় মার্কেটের নীচে কেনাকাটা করতে আসা এক ক্রেতা সুব্রত পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একদিকে হাঁড় কাঁপানো শীত। অন্যদিকে কম দামে মুটামুটি চলনসই জিনিস পাওয়া যায় তাঁদের কাছে। আমরা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষেরা তো আর মার্কেট থেকে দামী পোষাক কেনার সাধ্য রাখিনা। তাই ওদের কাছে আসা।’
এ সময় তিনি আজকের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘আজ যেরকম একদিকে বন্ধের দিন অন্যদিকে ফুটপাত খালি রেখেই হকার বসেছে এভাবে বসলে আমাদের খুব বেশী সমস্যা হয় না। তবে রোজকার ভোগান্তি আর চাই না। তারা যদি রাস্তা ছেড়ে কোনো মাঠেও বসে তবুও আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ সেখানে যেতে বাধ্য।’