পুলিশের সদিচ্ছা ও সর্বসাধারণের সচেতনতায় শহীদ মিনারের মান রক্ষা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পুলিশ চাইলে সম্ভব। শহীদ মিনারের অবমাননা রুখতে পুলিশের সদিচ্ছা ও সর্বসাধারণের সচেতনতায় একটু আন্তরিকতাই যথেষ্ট। ২৪ ডিসেম্বর বিকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেউ জুতা পায়ে উঠেনি। যা সম্ভব হয়েছে পুলিশ ও এক জনপ্রতিনিধির সামান্য আন্তরিকতায়। বাঙালি চেতনার মূল সূত্র শহীদ মিনার। কিন্তু, জুতা পায়ে মিনারের মূল বেদীতে উঠে যাচ্ছেন অনেকেই। এতে নষ্ট হচ্ছে স্মৃতির মিনারের পবিত্রতা।

রবিবার ২৪ ডিসেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত কাউন্সিলর (৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) মনোয়ারা বেগম শহীদ মিনারে এসে দেখেন কতগুলো ছেলে মেয়ে জুতা পায়ে মিনারের মুল বেদীতে বসে আছে। সে তাদেরকে জুতা খুলে মিনারে বসতে বললে তাতে তারা কর্ণপাত না করলে, তিনি শহীদ মিনারে অবস্থানরত পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করলে। চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজান ও শহীদ মিনারে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সাথে সাথে শহীদ মিনারের মুল বেদী থেকে যারা জুতা পায়ে উঠেছিল তাদের নামিয়ে দেন। এরপর শহীদ মিনারের মুল বেদীতে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) লোকজন যারাই উঠেছেন তারা সবাই জুতা খুলে উঠেছেন।

এতে করে মানুষজন বলছে, শহীদ মিনারে সার্বক্ষনিক কিছু পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকে। তারা যদি লোকজনকে জুতা পায়ে উঠতে নিষেধ করে তাহলেই সম্ভব জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনার অবমাননা বন্ধ করা।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি শহীদ মিনারে এসে দেখলাম কয়েকটি যুগল ও কিছু ছেলে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদীতে বসে আছে। আমি তাদেরকে জুতা খুলে বসার কথা বললে তাতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হলে তারা সাথে সাথে তাদের এখান থেকে সরিয়ে দেয়। আর এতে করেই প্রমানিত হয় পুলিশ যদি একটু নজর দেয় তাহলে প্রতিদিন যে আমাদের শহীদ মিনারের অবমাননা করা হচ্ছে তা প্রতিহত হতো।

উল্লেখ্য, শহীদদের সম্মান এবং মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় বারবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নানা ভাবে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিলেও কার্যত আমরা ২১ শে ফেব্রুয়ারীর পর আর মিনারের পবিত্রতা নিয়ে ভাবি না। এছাড়া শহীদ মিনারের মুল বেদীতে জুতা নিয়ে প্রবেশ না করা সংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ডও লাগিয়েছে প্রশাসন।

add-content

আরও খবর

পঠিত