নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) ছরোয়ার হোসেন বলেছেন, শহীদুল্লাহ মাষ্টার বীরের বেশ বিদায় হচ্ছেন। কর্মের মাধ্যমে যিনি এলাকাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি কোন সাধারণ মানুষ নন। মানুষ কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন শহীদুল্লাহ মাষ্টার তার উদাহারণ। বিদায় নিতে সবাইকে দেখা যায়। তবের সেই বিদায় সবার জন্য দুঃখের হলেও শহীদুল্লাহ মাষ্টারের বিদায় হয়ে হলো আনন্দের। এমন বিদায় আমার চোখে পড়েনি। তিনি এলাকাকে একটি শিক্ষিত অঞ্চল হিসেবে পরিনত করেছেন তা কোনদিনই ভুলবে না এ এলাকার মানুষ। ২০ মে শনিবার বিকাল ৪ টায় বন্দরের কবি নজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল্লাহ মাস্টার ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ছায়েদ আলী মাস্টারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ছরোয়ার হোসেন আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা তোমাদেরকে স্বপ্ন দেখলে চলবে না আলোকিত মানুষ হয়ে দেশ গড়ায় হাল ধরতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীশিক্ষক/শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির ব্যবস্থাপনায় কবি নজরুল মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ নিজামউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর আবদুল বারেক ভূইয়া, কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আল আমিন ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফিউদ্দিন আহমেদ।
সংবর্ধনানুষ্ঠানের আহবায়ক জেড এম হাসান ইমাম লিটলের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন, ঢাকেশ্বরী মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জহির মাষ্টার, ৩৮নং আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, মনির হোসেন, মাহাবুবুর রহমান সোহেল, জাকির হোসেন, আবুল কালাম, কবি এ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার শিউলী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সপ্লা বেগম। প্রধান অতিথি ছাড়াও অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য আলোচনা করেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, শহীদুল্লাহ মাষ্টার শিক্ষকদের মডেল। তার কর্ম জানান দেয় তিনি কেবল একজন শিক্ষকই ছিলেন না তিনি ছিলেন একাধারে ম্যানেজিং কমিটির কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী এবং একজন দক্ষ সংগঠক। এমন শিক্ষক মেলা ভার। শহীদুল্লাহ মাষ্টার শিক্ষকতা পেশায় মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন। সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা আজীবন এই শিক্ষককে সম্মান জানাবেন। কোনভাবেই যাতে তিনি এলাকার মানুষের কাছে অমর্যাদা না পান। তাকে আপনারা সব সময় বিরল সম্মান জানাবেন। আমি মনে করি শহীদুল্লাহ মাষ্টারকে কেবল মাস্টার বলে সম্বোধন নয় তার বাড়িরও একটা বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে। তার বাড়ির নাম হবে মাস্টার বাড়ি।