সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে পুলিশ সুপার-নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশ সুপার ডা. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মহিবুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক-প্রকাশক এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ ও পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগীতা করায় সভার শুরুতেই উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশ সুপার ডা. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭হত্যার পর পর ২০১৪সাল থেকে আমি কাজ করে আসছি। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সকল প্রকারের অপরাধ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অপরাধ কমিয়ে আনতে জেলার সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহযোগীতা করেছে। এমনিভাবে অপরাধ আরো কমিয়ে আনতে পুলিশ জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবে। সেই সাথে জনসাধারণকেও সহযোগীতা করতে হবে।

এসময় অপরাধ কর্মে আসার উদাহরণ স্মরূপ তিনি বলেন, ২০১৩সাল থেকে ২০১৪সাল পর্যন্ত হত্যা মামলা ছিলো ১’শ ৪৮টি। বর্তমানে তা কমে এসেছে ১শ ২৫টি। ডাকাতি মামলা ছিলো ২৯টি, বর্তমানে রয়েছে ১৪টি এবং ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে ২’শ ৪০জন। গত মাসে নারী নির্যাতনের মামলা ছিলো ২৫টি এবং চলতি মাসে হয়েছে ২১টি। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন মামলার আসামী, মাদক ব্যবসায়ী আটক, অস্ত্র, অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধারসহ বিভিন্ন উন্নতি করা হয়েছে।

পুলিশের ভূমিকা অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট সংকর কুমার দে বলেন, মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয় রয়েছে। কারণ, মতের আদান-প্রদান না হলে কেউ কোন বিষয় জানতে পারে না। সোনারগাঁও বারদি লোকনাথ ভ্রম্যচারী আশ্রমের সামনে বিভিন্ন দোকান রয়েছে। সেই দোকানীদের দ্বারা প্রতিনিয়তই জনসাধারণ হেস্তনেস্ত’র শিকার হচ্ছে। তারা যেন জনসাধারণকে হেস্তনেস্ত না করতে পারে এর জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। জেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক নির্মুলে মহল্লা ভিত্তিক পুলিশি টহলের ব্যবস্থা হলে মাদক ব্যবসা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন। শহরের যানজট নিরসনে রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক বা প্রেস লেখা পরিবহনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব জানান।

এরপরে বেশ কয়েক জন সাংবাদিক তাদের মতামতের জবাবে যানজট ও মাদক সর্ম্পকে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা শুরু থেকেই যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু এর পরেও যানজট একই অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কারণ, পরিবহনগুলো সঠিক নিয়মে চলাচল করছেনা। এছাড়া মাদক বাংলাদেশে তৈরি হয়না। ফলে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও বর্ডার থেকে মাদক বিভিন্ন জেলায় চলে আসে। এর পরেও মাদক নির্মূলে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সেই কাজ আরো সহজ করে তুলতে আপনাদের সহযোগীতা প্রয়োজন। মতবিনিময় শেষে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের মগ উপহার তুলে দেয়। এরপর মধাহৃ ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত