নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : প্রায় ৩৮ বছর পর নারায়নগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ( অক্ষর ) নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। ৪৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে অক্ষর ফের সচল হলো। গত শনিবার বিকেলে ১৩১ বঙ্গবন্ধু সড়ক ৪র্থ তলায় অক্ষরের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অক্ষরের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক কথাশিল্পী আলী এহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় শীর্ষ আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ।
আলোচনায় অংশ নেন কবি আমজাদ হোসেন, অর্থ ও পুঁজি বাজার বিশ্লেষক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং অক্ষরের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক ফজলুল বারী, সাবেক ছাত্রনেতা মলয় দাশ চন্দন। আবৃত্তি ও কবিতা পাঠে অংশ নেন ভবানী শংকর রায়, মোহাম্মদ সেলিম, নাসিম আফজাল, রাজলক্ষী, আসমা বেগম, নীরব মজুমদার, ন¤্রতা মজুমদার, পূণ্য, দেবাশ্রিতা।
সূচনা বক্তব্য রাখেন অক্ষরের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক কবি করীম রেজা। অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধান ও সঞ্চালনা করেন অক্ষরের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক সাংবাদিক ও ছড়াকার ইউসুফ আলী এটম।
শীর্ষ আলোচক ড. শাহনাওয়াজ বলেন, দীর্ঘদিন পর অক্ষরের নবযাত্রায় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গন আলোড়িত হবে, বিকশিত হবে । অক্ষরের নবযাত্রায় শরীক হতে পেরে নারায়ণগঞ্জের সন্তান হিসেবে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত। স্থানীয়ভাবে প্রতœতাত্ত্বিক শিক্ষার উন্নয়নের সাথে সাথে বিদেশীদের মতবাদ সব ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয়দের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা শুরুর শত বৎসর আগেই বাংলা অঞ্চলে আবাসিক বিশ্বদ্যিালয় সুপতিষ্ঠিত ছিল। তিনি প্রাচীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাঙালির সভ্যতা ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন। মধ্যযুগে বিশেষত সুলতানি আমলে বাংলার অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা দৃঢ় ছিল, উদাহরণ স্বরূপ তিনি বৈষ্ণব ও সূফি বাদের মানবিক আবেদনের সর্বজনীনতা উল্লেখ করেন।
কবি আমজাদ হোসেন অক্ষরের অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেন। ফজলুল বারী জাতীয় ঐক্যে বিভক্তি উন্নয়নের প্রধান বাধা বলে মনে করেন। অক্ষর পরিশীলিত সাংস্কৃতিক চর্চার দ্বারা সমাজে-রাষ্ট্রে জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে বলে আশা করেন। মলয় দাশ চন্দন স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বর্তমান যুব সমাজের আচরণে গেীরবময় অতীত অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি আলী এহসান বাংলার সংস্কৃতি যে ভূঁইফোড় নয় তা সবাইকে মনে রাখার উপর জোর দেন। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগের আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সংগীত পরিবেশনায় অংশগ্রহন করে এককভাবে জ্যোতি দাস এবং দলীয়ভাবে ব্যান্ড দল (নিক্কন)। তাদের পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।