নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নগর সংবাদদাতা ) : গার্মেন্টস শ্রমিকদের ২০ রোজার মধ্যে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদবোনাস ও মে মাসের বেতনসহ সব বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, টিইউসি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেস্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস, সোলেমান ও মোস্তাকিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত ঈদবোনাস ও মে মাসের বেতনসহ সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সারাবছর নানা রকম টালবাহানা করেন। মাসের পর মাস তাদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখেন। ঈদের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করে লাপাত্তা হয়ে যান। এতে শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। তারা আন্দোলন করতে বাধ্য হন। শিল্পে তৈরি হয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। তাই ঈদের আগে অর্থাৎ ২০ রোজার মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। সময় মতো শ্রমিকরা টাকা না পেলে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ির অগ্রিম টিকিট বুকিং করা বা নতুন কাপড়চোপড় কেনাকাটা ও হাটবাজার করা সম্ভব হয় না। বেতন-বোনাস প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গড়িমসি সহ্য করা হবে না। শ্রমিকদের বেতন-বোনাসপ্রাপ্তি নিশ্চিতে সরকার ও মালিকদের আগেভাগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদবোনাস পান। কিন্তু দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সেই হারে বোনাস দেয়া হয় না। অধিকাংশ কারখানার মালিক নিজের ইচ্ছামতো নামমাত্র বোনাস দিয়ে থাকেন। এক দেশে দুই নিয়ম তো চলতে পারে না।