নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেল গেইট এলাকার পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শুরু হয় এই উচ্ছেদ অভিযান।
এর আগে সাড়ে ৮ টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে বিক্ষোভ শুরু করে থান কাপড় মার্কেটের কয়েকশত ব্যবসায়ী। তারা সড়ক ও রেল পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা রেল লাইনের উপর উঠে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা একটি চলন্ত ট্রেন থামিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে প্রবেশ করছিলো। ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের কারণে ২নং গেটে উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ভোগান্তিতে পড়ে স্কুল-কলেজসহ অফিসগামী সাধারন মানুষ। তাছাড়া ২নং রেলক্রসিং বরাবর ট্রেনটি থাকিয়ে রাখলে এ সময় শগরের গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধু সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেল কর্তৃপক্ষ জেলা পুলিশের সরনাপন্ন হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ অতিরিক্ত ডেকে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশের তৎপরতায় কোনো রকম গোলযোগ ছাড়াই রাস্তা থেকে সরে যান বিক্ষুব্ধ ব্যবসাীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ২ নং গেট এলাকার থান কাপড় মার্কেট উচ্ছেদ চালানোর কথা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। সে লক্ষ্যে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাথে নিয়ে আসেন একটি ভেকু। এই উচ্ছেদ ঠেকাতে আগে থেকেই কয়েকশত ব্যবসায়ী অবস্থান নেন ২ নং রেল গেইট । সে লক্ষ্যে তারা সকাল পৌনে ৯টার দিকে রেল গেইটের সিগন্যাল ষ্ট্যান্ড ফেলে দিয়ে উভয় দিকের যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা রেল লাইনের উপর উঠে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনও আটকে দেন তারা।
তারা আরো জানায়, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের কারণে উচ্ছেদ ব্যাহত হলে তারা পুলিশের স্বরনাপন্ন হন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। তারা ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে শান্ত করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। ব্যবসায়ীরাও পুলিশের কথা শুনে রাস্তা থেকে সরে আসেন। ফলে কোনো ধরণের গোলযোগ সৃষ্টি ছাড়াই বিনা বাধায় রেলওয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন।
তথ্য সূত্রে মতে, রেলওয়ের থান কাপড় মার্কেটে প্রায় চারশত উপরে দোকান রয়েছে। সবগুলো দোকানই উচ্ছেদ করার কথা ছিলো। তবে এই উচ্ছেদে সব দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে না বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রায় দুইশত দোকানের মতো শেষতক টিকে থাকতে পারে বলেই খবর পাওয়া গেছে।
রেলওয়ে জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এ সময় রেল গেইট এলাকার টিনসেড ঘর, আধপাকা মার্কেট ও পোশাকের দোকান ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এদিকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে এমন দাবিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয়।