নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা জুড়ে কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ ছাড়াও বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১৪ আগস্ট বুধবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বনানী কবরস্থান এলাকা ঘিরে নিশ্ছিদ্র সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। শোক দিবসের নানা অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীজুড়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষ ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকালে সবার আগে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধি নিবেদন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়া যাবেন।
এ শ্রদ্ধা নিবেদন ঘিরে ডিএমপি ৩২ নম্বর ও বনানী কবরস্থান ঘিরে নিশ্ছিদ্র সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নিরীক্ষণের আওতায় থাকবে। ডিএমপি ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও পুলিশের নৌ-প্রহরা থাকবে।
৩২ নম্বরের চারপাশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ব্যারিকেড থাকবে। যথাযথ তল্লাশির মধ্য দিয়ে ব্যারিকেড অতিক্রম করে জনাসাধারনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রবেশের সময় গেইটে পুনরায় আর্চওয়ের মাধ্যমে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ও ভিভিআইপিরা ধানমন্ডি ২৭ নম্বর হয়ে পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পূর্ব পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৩২ নম্বর এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মূক্ত করে দেওয়া হবে। জনসাধারণ সবাই রাসেল স্কয়ার অর্থাৎ পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অযথা ভিড় না করে যতো দ্রুত সম্ভব স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ চলে আসলে সবাই কলাবাগান মাঠে অপেক্ষা করবেন। ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাইকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
এছাড়া, মহানগরী জুড়ে অজস্র কর্মসূচি এবং কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন হবে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, শোক দিবসের সকল আয়োজন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে নিরাপত্তার স্বার্থে মহানগরী জুড়ে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ডিএমপি।