নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অননুমোদিত কারখানায় ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির সময় হাতে নাতে মো. কবির হোসেন (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ দল। গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ই এপ্রিল শনিবার বিকালে সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় কারখানায় তৈরি অবস্থায় বিপুল পরিমান ক্রিস্টাল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লাচ্চি মিল্ক ফ্লেভার ড্রিংকস্, আইস লল্,ী ম্যাংগো জুস, ইন্ডিয়ান গুড়া বিট লবণ, ভেজাল জুস তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যাল ও ভেজাল জুস তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফ্লেভার উদ্ধার করা হয়। অভিযাকালে এ সময় কারখানার এমডি মো. রশিদ আলী কৌশলে পালিয়ে যায়।
আজ ১৮ই এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এক সংবাদ প্রেরিত বার্তায় জানান, গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ই এপ্রিল শনিবার বিকালে সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির সময় হাতে নাতে মো. কবির হোসেন (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের ওই কর্মকতা আরো জানান, কারখানায় এমডি মো. রশিদ আলী ও মো. কবির হোসেন দুই জন পরষ্পর যোগসাজশে কয়েক বছর যাবৎ সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় সরকারী অনুমোদন না নিয়ে আর এন আর ড্রিংকস এন্ড এগ্রো প্রোডাক্টস নামক ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল বলে জানা যায়। উক্ত ফ্যাক্টরীতে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় ক্রিস্টাল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লাচ্চি মিল্ক ফ্লেভার ড্রিংকস্, আইস ললী, ম্যাংগো জুস, ইন্ডিয়ান গুড়া বিট লবণ সহ বিভিন্ন ধরনের ভেজাল পানীয় বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়েই বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। তারা অবৈধ উপায় অবলম্বন করে সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে যা শিশু ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, অনুসন্ধানে জানা গেছে উক্ত ফ্যাক্টরীর নামে কোন ভ্যাট রেজি: নেই। তারা কোন প্রকার মূসক প্রদান না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সকল অননুমোদিত ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকতা।
উল্লেখ্য যে, গত বছর ২০২০ সালের ১০ আগষ্ট একই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা হলে ফ্যাক্টরীটি কিছুদিন বন্ধ রেখে তারা পুনরায় চালু করে।