নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় একটি পূজামন্ডপে লক্ষী পূজা চলাকালে প্রতিমা ভাংচুরের দুই দিন পর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লোকনাথ দত্ত বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় মামলা হলেও উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিন্দু নেতারা জানান, সোনারগাঁয়ে মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা এলাকায় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সঙ্গে আব্দুল্লাহ আল কায়সারপন্থী হুমায়ুন মেম্বার ও তার আত্মীয়স্বজনদের যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও উপস্থিত ছিলো না। সংঘর্ষের আগে পিছে হিন্দুদের কেউ জড়িত না থাকা স্বত্ত্বে ও শুধুমাত্র ডা. বিরুকে লক্ষী পূজোর অনুষ্ঠানে অতিথি করার কারণে আব্দুল্লাহ আল কায়সারপন্থীরা গাবতলি এলাকার শ্রী হরিসাধনের বাড়ির পূজামÐপে প্রতিমা ভাংচুর করে এক নেক্কারজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
হিন্দু নেতারা আরো জানান, কায়সারপন্থীদের চাপের কারণে হিন্দুরা এর প্রতিবাদ জানানোর সাহস পাচ্ছে না এবং চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় শুক্রবার থানায় যে মামলা হয়েছে সেখানেও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে ওই চাপের কারনে। অথচ প্রকাশ্য দিবালোকে কায়সারপন্থী হুমায়ুন মেম্বারের ছেলে ও শ্যালকদের নেতৃত্বে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি এলাকাবাসীর অজ্ঞাত নয় এবং যা পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
নেতারা আরো জানান, প্রতিমা ভাংচুরের পর থেকে সোনারগাঁয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে আর যেন কখনো হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলা না হয় সেজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।