নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে টেঁটার আঘাতে নিহত জাকির হোসেনের মৃত্যুর ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকান্ডের মূল আসামী নবী হোসেন, নজরুল ও সিরাজকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদি পরিবার ও স্বাক্ষীদেরকে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন।
জাকির হোসেন হত্যা মামলার বাদি তার বড় ভাই মনির হোসেন জানান, উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলণকৃত বালুর টাকা নিয়ে স্থানীয় মৃত শহীদুল্লাহ মেম্বারের ছেলে নবী হোসেন, নজরুল ও আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজ গ্রুপের সঙ্গে স্থানীয় আমির হোসেন গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিলো। গত ১ ডিসেম্বর রবিবার রাত ১০টার দিকে বাদির ভাই জাকির হোসেন ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেন। এসময় নবী হোসেন, নজরুল ও সিরাজের নেতৃত্বে বালু সন্ত্রাসীরা জাকির হোসেনকে টেঁটা, রামদা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় জাকির হোসেন ছাড়াও আমির হোসেন ও আল-আমিন গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় মূলহোতা নবী হোসেন, নজরুল ও সিরাজসহ ২২ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ আবু হানিফ নামের একজনকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে প্রধান আসামীরা মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য নিহতের পরিবার ও স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে এবং এতে রাজী না হলে জাকিরের মত সবাইকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিচ্ছে।
মনির হোসেন আরও জানান, নবী হোসেন, নজরুল ও সিরাজ বাহিনীর হুমকির কারনে নিহতের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তাদের গ্রেফতার না করলে যে কোন সময় তারা আরও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, জাকির হোসেন হত্যা মামলায় আবু হানিফ নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।