নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া এলাকায় এক গৃহকর্মীকে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার যুবক। গত ২৮ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ওই গৃহকর্মী ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শাহিনুর ইসলাম নামের এক আসামীকে ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন খন্দকারের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে ওই আসামী তার দোষ স্বীকার করে। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ দিকে মঙ্গলবার রাতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং একজনকে অজ্ঞাত আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো, সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, একই এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে স্বপন (৩০) এবং নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমাণিকের ছেলে শাহিনুর ইসলাম। এ মামলায় আরো একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে গৃহকর্মী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুরের বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। কাজের সুবিধার্থে বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। হাবিবুরের বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় হাবিবুর রহমান ও গৃহকর্মীর কিছু আর্থিক লেনদেন হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুর রহমান তার সহযোগী স্বপন ও শাহিনুরকে দিয়ে ওই গৃহকর্মীকে ফোন করে হাবিবুরের বাসায় আসতে বলে। গৃহকর্মী হাবিবুরের বাসায় আসলে তাকে জোরপূর্বক ৪ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহকর্মী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলে তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাগবাড়িয়া গ্রামের মৃত সুবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান ও নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমানিকের ছেলে শাহিনুর ইসলামকে গ্রেফতার করে।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসানউল্লাহ জানান, মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনের মধ্যে শাহিনুর ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতারকৃত একজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওই আসামী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৭ তারিখ একই এলাকায় এক গার্মেন্ট কর্মীকে সিএনজি অটো রিকশা করে তুলে এনে রাতভর গণধর্ষণ করে ৬ যুবক। ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ ধর্ষক দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে।