সোঁনারগায়ে কাজী মামুনের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে কুচক্রি মহল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কাজী মামুনের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বাল্য বিবাহ সহ নানাবিধ ভিত্তিহীন কথা উল্লেখ করে সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য অসত্য তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সহ কতিপয় ব্যক্তিরা সংবাদ মাধ্যম ব্যবহার করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ওই কুচক্র মহলটি ০৩/০৯/২০১৯ ইং তারিখে কাজী মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন খবর স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কোনরকম যাচাই বাছাই ও  প্রমান পত্র ছাড়াই একজন সম্মানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। তা অসত্য দাবী করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কাজী মামুন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, গত সোমবার রাতে দুধঘাটা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মোফাজ্জলের সাথে ভাটের চর গ্রামের নাবালক মেয়ের বিবাহ করানো হয় বলে খবর প্রকাশ করা হয়।বিবাহ টি সঠিক ছিল, কিন্তু তা বাল্য বিবাহ ছিল না । উক্ত বিবাহে  উভয় পক্ষের অভিবাকগনের উপস্থিতিতে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়।কিন্তু  পত্রিকাগুলিতে বাল্য বিবাহ বলে খবর ছাপানো হয়েছে। কাজী মামুন বিবাহের জন্য জন্ম সনদ সঠিক বয়স ছাড়া বিবাহ নিবন্ধন করে না। যাহার পরিপেক্ষিতে   খবরে প্রকাশিত ঐ বিবাহের সময় কাজী মামুন বর এবং কনের জন্ম সনদ এর ফটোকপি নিয়ে নিকাহ নামা নিবন্ধন করেছেন। উক্ত নিবন্ধনে বর এবং কনের বিবাহের সরকারী বিধি অনুযায়ী যে বয়স প্রয়োজন তাহা সঠিক রহিয়াছে। আরো পত্রিকাগুলিতে সংবাদ প্রকাশ করা হইয়াছে আগষ্ট মাসের ২১ তারিখে কাজীর গাও গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে রোমানের সাথে একই গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয় বলে পত্রিকায় রিপোর্ট রহিয়াছে। উক্ত তারিখে এবং আগে পরে কোন তারিখেই ঐ গ্রামে  ঐ নামে কোন ছেলে-মেয়ের বিবাহ রেজিস্ট্রি হয় নাই  এই খবর টি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে সচেতন মহল মনে করেন।

পত্রিকার সংবাদে আরো বলা হয় যে, কাজী মামুনসহ কাজীরা সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেয়। কথাটি আদৌ সঠিক নহে, কারণ নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগন সোনালী ব্যাংকে সরকারী চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়া  স্ব স্ব জেলা রেজিস্ট্রার এর মাধ্যমে আই.জি.আর এর স্বাক্ষরের উপর ভিত্তি করে বিজি প্রেস তেঁজগাও ঢাকা থেকে সমগ্র বাংলাদেশের কাজীগন  যাবতীয় নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত  বই উত্তলোন করেন । বিবাহ নিবন্ধন বই পথে-ঘাটে বা কোন দোকানে বিক্রি হয়না এখানে রাজস্ব ফাকি  দেওয়ার কোন অবকাশ নাই।

খবরে আরো উল্লেখ্য রয়েছে যে, কাজী মামুনের পিতা একজন স্কুল শিক্ষক তিনি নারায়ণগঞ্জে দুইটি বাড়ি করেছেন তিনি সামান্য স্কুল শিক্ষক হয়ে এতগুলো বাড়ি করলো কিভাবে পত্রিকায় প্রশ্ন করা হয়েছে। এই বিষয়ে কাজী মামুন বলিতেছি যে, আমার পিতা মোগড়া পাড়া হাই স্কুলে হেড মাওলানা শিক্ষকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, তিনটি রাইস মিলের মালিক ছিলেন , সম্ভুপুরা পিরোজপুর ও মোগড়া পাড়া ইউনিয়ন এর সরকারী ভাবে অনুমোদিত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়া সামাজিক অনেক দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি অনেক পৈতৃক সম্পদের মালিক ছিলেন। ঐ পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করিয়া উক্ত অর্থ দিয়া নারায়নগঞ্জে একটি বাড়ি করেছেন। খবরে উল্লেখ করা হয়েছে সোনারগাঁ গোহাট্টা গ্রামে একটি বাড়ি আছে উক্ত খবরটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। গোহাট্টায় যে বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত বাড়িটি মোগড়া পাড়া হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির তিনি আমার আপন বড় ভগ্নিপতি । খবরে আরো প্রকাশ যে, চৌরাস্তায় যে জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত জমি আমার দ্বিতীয় তৃতীয়  ভগ্নিপতির ক্রয়কৃত তারা উভয়েই সরকারী চাকুরীতে বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে ।একজন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশকারী এভাবে কাজী মামুন কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মান সম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উক্ত সাংবাদিক যাচাই বাছাই না করিয়া একটি কুচক্রির মহলের কথা মত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কাজী মামুনের মান সম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করে খবরটি প্রকাশ করে ।

add-content

আরও খবর

পঠিত