সমঝোতায় হোসিয়ারি শ্রমিকদের সাত দফা দাবির সমাধান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি শ্রমিকদের উত্থাপিত সাত দফা দাবির সমাধান হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে। হোসিয়ারি মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন ও নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারি শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান বদু এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মতিন ভুঁইয়া।

দাবিগুলোর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৮ থেকে ৩০ সাইজ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ৩১ থেকে ৩৬ সাইজ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ থেকে ৪২ সাইজ পর্যন্ত ৯ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হবে।

বৈঠকে হোসিয়ারি সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু বলেন, আজকের সভায় শ্রমিকদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় মালিকপক্ষ উদার মনোভাব দেখিয়েছে। শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমরা চাই, এই ঐক্যবদ্ধ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকুক।

তিনি আরও জানান, প্রতি দুই বছর পরপর শ্রমিকদের দাবি নিয়ে আলোচনার ধারা অব্যাহত থাকবে। উভয় পক্ষের দায়িত্বশীল অবস্থানেই এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হোসিয়ারি সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি সাঈদ আহম্মেদ স্বপন, পরিচালক দুলাল মল্লিক, মিজানুর রহমান মিজান, হাজী শাহিন, পারভেজ মল্লিক, আলহাজ্ব মনির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মো. মাসুদুর রহমান, বাবু বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মো. নাছির শেখ, আবদুস সোবহান তালুকদার ও নাছিম আহম্মেদ।

শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. রমজান ও শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া ও আব্দুর গনি মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আর এ জমজম মোল্লা ও দপ্তর সম্পাদক মমিনুল ইসলাম। পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে আইভী

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে নিহত পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে চারটায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডা. আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন এবং আদালতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

আইভীরপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, আমাদের শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়নি। মামলার এজাহারে ২ নম্বর আসামি শামীম ওসমানকে মিনারুল হত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তেও আইভীর জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। এর পরেও তার বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করা সম্পূর্ণ বৈষম্যপূর্ণ।

রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়েছে। সেই হামলার বিস্তারিত জানতেই তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ৯ মে শুক্রবার সকালে পৈতৃক বাড়ি ‘চুনকা কুটির’ থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয় মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায়। পরবর্তীতে তাকে আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত