সকালে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সভা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার  ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে জননিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীর সাথে সভায় অংশ নেবেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।

২৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সভায় অংশ নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যায়।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর সোমবার মাঠে নামছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডাকলেই তারা ঘটনাস্থল যাবেন। এমন নির্দেশনা নিয়ে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নির্ধারিত ক্যাম্পে আসছেন  সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে সব মিলে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তারা ভোটের পর দুই দিনসহ সব মিলে চার দিন মাঠে থাকবেন।

এছাড়া জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় সাধারণ এলাকা ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দশম জাতীয় নির্বাচনের আদলে এবারও আইন-শৃঙ্খলায় থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা ছক। ভোটকেন্দ্র পাহারার ক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশসহ ১৪ জন ফোর্স রাখার বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা রেখেছে ইসি।

তবে, ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখতে বাইরে থাকবেন সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। আর র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। কিন্তু কেন্দ্রে  প্রবেশে অনুমতি লাগবে রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার। এ ছাড়া নির্বাচনের বিধি-ভঙ্গ, প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য, চরিত্রহনের অপচেষ্টা প্রতিরোধে মাঠে থাকবেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ইসির কার্যপত্রের তথ্যনুযায়ী, এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় সাত লাখের কাছাকাছি মোতায়েন হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী।

add-content

আরও খবর

পঠিত