নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিনিধি) : ভালো নেই আমার পরিবার খেতে পাইনা। ছোট বেলায় বাবাকে হানাদার বাহিনীরা পুরিয়ে মারছে। মা আরেক জাগায় বিয়ে বইছে আমি দাদির কাছে মানুষ হইছি দাদি মানুষের বাসায় কাম কইরা আমারে খাওয়াইতো পড়তে পারি নাই আমি বোবা বলে। সেই শেখ আমলে দুই হাজার টাকার চেক পাইছিলাম। শেখ মজিবর রহমান মারা যাবার পর আর কিছুই পাইনি। একান্ত সাক্ষাতকারে নারায়নগজ্ঞ বার্তা ২৪ কে জানালেন বন্দর ছালেহনগর এলাকার শহিদ মোবারক হোসেনের ছেলে মো:ফারুক হোসেন। ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর সহায়তায় তিনদিকে নদী পরিবেষ্ঠিত বন্দরে প্রবেশ করে নারকীর তান্ডবের মহাৎসব চালায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজনের বাড়ি ঘর আগুন জ্বালিয়ে ছার খার করে দেয় বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৫৪ জনকে ধরে এনে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে জড়ো করে হাত চোখ বেধে এক সাড়িতে দার করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মম ভাবে হত্যা করে ও তাদের মন শান্ত হয় না সমস্ত লাশ একসাথে করে আশ পাশ থেকে বাসের মুলি বেড়া এনে লাসের উপর ফেলে গান পাউডার দিয়ে পুরিয়ে দেয়। সেই নির্মম ভাবে হত্যা করা ৫৪ জন শহিদের মধ্যে ২৪ জনের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে তারা হলেন ছমির উদ্দিন সরদার, মমতাজ উদ্দিন মাষ্টার, আলী আকবর, রেজাউল ইসলাম বাবুল, আমির হোসেন, নায়েব আলী, আলী হোসেন, ইউসুফ আলী, শরৎ চন্দ্র কানু, যমুনা চন্দ্র কানু, লছমন চন্দ্র কানু, কানাই লাল কানু, গোপাল চন্দ্র, ভগবত চন্দ্র,দূর্গা চরন প্রসাদ, নারায়ন চন্দ্র প্রসাদ, ইন্দ্র চন্দ্র দাস, সুরেশ চন্দ্র দাস, দিগন্ত চন্দ্র বর্মণ, বনেল চৌধুরী, মোবারক হোসেন, হারাধন মাষ্টার, নারায়ন চৌধুরী, ও পরেশ দাস সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানতে পারা যায় এদের বেশীর ভাগ পরিবারই এখন তিন বেলা খাবার পায় না। বন্দর বাবুপাড়া থেকে শহিদ ছমির উদ্দিন সরদারের ছেলে আলতাব উদ্দিন বলেন আমরা যখন ছোট তখন বাবাকে পাকহানাদার বাহিনীরা নিয়ে মেরে ফেলে আমাদের সংসারের হালধরার মত কেউ ছিলো না তাই ছোট বেলা থেকে হোটেলে কাজ করি পরে একটি চার দোকান দেই তাও সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা বৃদ্ধি করার কারনে ভেংগে দেয় এখন নতুন করে দোকান নেওয়ার মত সামর্থ নেই। এমত অবস্থায় আমি ছেলে মেয়েদের কি খাওয়াবো?