নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : নারায়ণগঞ্জের বৃহত্তম দ্বিগুবাবুর বাজারের শাখা সড়কটির যানজট আর জনজট এখন যেন নগরবাসীর অচেনা রূপ। র্দীঘ আধঘন্টার পথ চলতে এখন সময় লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। মীর জুমলা নামে বিকল্প শাখা সড়কটি এখন উন্মুক্ত। এতে করে খুব স্বস্তিতে নগরবাসী। গত ৩১শে ডিসেম্বর রবিবার পুলিশ প্রশাসন ও নাসিক এর অভিযানের পর এখন পাল্টে গেছে এ সড়কের দৃশ্যপট। এ সড়কটিতে এখন নির্বিঘেœ চলাচল করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ।
বিকল্প শাখা রোড মীর জুমলা সড়কটি এখন যান চলাচলের উপযোগী হওয়ায় শহরের চাষাঢ়া থেকে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত ফাকাঁ সড়কে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও খুব সাচ্ছন্দেই মীর জুমলা সড়কে চলাচল করছে পথচারী, রিকশা সহ ভারী যানবাহন। তবে দোকানি ও মানুষের অসচেতনায় খানিকটা বিলম্বে সর্বসাধারণ। পুরো পথই ফাকাঁ, তবে অল্প কিছু জায়গায় দোকানিদের বর্জ্যরে কারনে সড়কটিতে চলাচলে বিঘœ ঘটছে। তাই ভোক্তভোগীদের দাবী শুধু এটুকু ময়লা সরিয়ে ফেললেই সড়কটিতে প্রাণ ফিরে আসবে।
গলাচিপা এলাকার গৃহিণী শাহিদা জানায়, মেয়েকে নিয়ে কলেজে যেতে এখন আর সমস্যা হয়না। সড়কটি চলাচলে উপযোগী করে তোলায় রিকশা ছেড়ে এখন হেটেই যাতায়াত করি। কিন্তু সড়কের পাশে এখনও কিছু ময়লা ফেলে রাখায় হাটতে একটু সমস্যা হয়। শুধু এটুকু সরিয়ে ফেললেই হবে। এছাড়া এই রাস্তা এখন ফাকাঁই বলা চলে।
স্থানীয় কাজল নামে এক ব্যাক্তি জানায়, দীর্ঘ দুই যুগ এ সড়কটি অবৈধ দখলদারদের কবলে ছিল। প্রায় ৮ বছর আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে মীর জুমলা সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হলেও তা ধীরে ধীরে আবারও পুরনো রূপে ফিরে যায়। এবারের এই উচ্ছেদ অভিযানে আমরা স্বস্তি বোধ করছি। আমরা এই সড়কটি এভাবেই দেখতে চাই। আর যেন কোন দখলদাররা এখানে স্থান করতে না পারে এজন্য পুলিশ প্রসাশন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, শহরের দিগুবাবুর বাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এ সড়কের এক প্রান্তে শহরের মূল সড়ক অপর প্রান্তে নারায়ণগঞ্জ কলেজ, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, টেলিফোন ভবন, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটসহ রয়েছে অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। একসময় ময়লার স্তুপ ও দোকানদারদের দখলবাজির কারনে এ সড়কটি মানুষের চলাচলের জন্য অলিখিতভাবে বন্ধ ছিলো।