শীতলক্ষায় ঘাতক বাল্কহেডের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারীর সিদ্ধান্ত

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ (শিপু) : শীতলক্ষায় নৌকাডুবী বন্ধে বালুবাহী বাল্কহেডের উপর কঠোর নজরদারী, ভেজাল খাদ্য ও ফলমুলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা, বন্দর খেয়াঘাটের দুপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে নির্বিঘেœ চলাচলের ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের যৌথ অভিযান বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের মধ্যদিয়ে বন্দর উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার শুরুতেই বিগত মাসের আইন-শৃংখলার রিপোর্ট পেশ করেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শীতলক্ষা নদীর বন্দর খেয়াঘাটে বালুর ট্রলারের ধাক্কায় নৌকাডুবীতে মা ও শিশু নিহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইন-শৃংখলা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান। তিনি বলেন,  সন্ধার পর থেকে বালুর বোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন বিভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এ সিদ্ধান্তের পরও রাত সাড়ে ৮ টায় বন্দর খেয়াঘাটের একটি যাত্রীবাহী নৌকাকে টেনেহিচড়ে অর্ধকিলোমিটার দূরে ফেলে দেয় একটি বেপরোয়া বালুর বোট। এতে নিঁখোঁজ হয় শিশু সন্তানসহ মা মিতু বেগম। ৩৫ ঘন্টা পর ছেলে ও মায়ের লাশ উদ্ধার হয়। এভাবে বহু মায়ের বুক খালী হয়েছে এই শীতলক্ষায়। বাল্কহেড চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করলে নদী পারাপারের ৫ লাখ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে? শীতলক্ষা সেতু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ আছে। এভাবে আর কত মানুষ প্রাণ দেবে।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম, ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানসহ অন্যন্যরা। সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মিনারা নাজমিন এব্যাপারে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন এবয় বন্দর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এসিল্যান্ড হোসনে আরা বেগম বলেন, এরআগে শীতলক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বিআইডব্লিউটিএর তদবীরের কারনে ফিরে আসতে হয়েছে। কিছু বালুর ট্রলারের জন্য বিশাল জনগোষ্ঠির জীবনের ঝুঁকি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। যতদিন পর্যন্ত তদবীর বন্ধ না হবে ততদিন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবেনা।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমিনের সভাপতিত্বে আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আহাম্মদ হালিম মজহার, পল্লী বিদ্যুত ডিজিএম জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আফতাবউদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম, কমিটির সদস্য বাচ্চু মিয়া, আঞ্জুমানারা বেগমসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। সভায় শীতলক্ষায় নৌকাডুবী বন্ধে বালুবাহী বাল্কহেডের উপর কঠোর নজরদারী, ভেজাল খাদ্য ও ফলমুলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা, বন্দর খেয়াঘাটের দুপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে নির্বিঘেœ চলাচলের ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের যৌথ অভিযান বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত