নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ে। ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কলেজের একাদশ শ্রেণী কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফতুল্লা ভূইগড় মাহমুদপুর এলাকার তোফাজ্জাল হোসেনের মেয়ে তন্বী আক্তার। আর অভিযুক্ত শিক্ষক উক্ত কলেজের ইরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ছোলাইমান খন্দকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু প্রতক্ষ্যদর্শী ও উক্ত শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানান, তন্বী ক্লাসে মোবাইল নিয়া আসছিল আর ওর কাছে বইও ছিল না। তাই স্যার ওর উপর রেগে যায় এবং থাপ্পর মারেন। এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ও মা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে শিক্ষার্থীর চাচা আতাউর বলেন, আমার ভাগ্নি ক্লাসে বই নিয়ে যায়নি বলে শিক্ষক রেগে গিয়ে তাকে মারধর করে। আর এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এদিকে ভুক্তভোগীর চাচা বক্তব্য দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই এ বিষয়ে কোনো নিউজ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীর একজন সহপাঠী জানান, কলেজ থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে কলেজ থেকে বেড় করার হুমকিও দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ছোলাইমান খন্দকার বলেন, আমি ক্লাসে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু শিক্ষার্থী ক্লাসরুম থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি তাদের আটকাই এবং তাদের কাছে মোবাইল খুজে পাই। কলেজের নিয়ম অনুযায়ী যা নিষিদ্ধ। সেই শিক্ষার্থীর কাছে ক্লাসের বইও ছিল না। তখন আমি তার ফোন জব্দ করি। তবে এ সময় মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন শিক্ষার্থী অচেতন হয়েছে শুনেছি। তবে তখন আমি অন্য একটি ক্লাসে ছিলাম। তাই এ সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না।
এদিকে মারধরের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রফেসার বেদৌরা বিনতে হাবিব। প্রথম পর্যায়ে তিনি বলেন, আজ কলেজে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরবর্তীতে তিনি বলেন, মেয়েটি অসুস্থ্য ছিল। ফলে ক্লাস করার সময় সে অচেতন হয়ে পরে। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসা দিয়ে অভিভাবকের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। সেহেতু আমি বলতে পারবো না আসলে কি হয়েছে। আগামীকাল আমরা সবাই বসবো এবং ক্লাসরুমে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।