নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে ছাত্র জীবনেই দেশের জন্য অস্ত্র ধরেছিলেন। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব গাঁথা সম্মূখ লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ভূষিত হয়েছেন বীর প্রতিক খেতাবে। এবার শিক্ষা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী।
এমপিত্ব, মন্ত্রীত্ব ও রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের গুরু দায়িত্ব যে হাতে সামলাচ্ছেন, সেই হাতেই গোটা রূপগঞ্জকে তিনি শিক্ষা বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে মাইলফলক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে রূপগঞ্জের সর্বত্রই শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন এই শিক্ষানুরাগী। নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে দু’হাত খুলে বিলিয়ে যাচ্ছেন নিজের অর্থ। পাশাপাশি পৌছে দিচ্ছেন শিক্ষাখাতে সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দও। এতে রূপগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কাঠামোগত ভাবে যেমন পরিপূর্নতা পাচ্ছে, তেমনই নতুন প্রজন্ম তথা সর্বস্তরের মানুষ শিক্ষার মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করতে পারছে।
গত তিন মেয়াদে গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ-১ আসন তথা রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই ১৫ বছরে তিনি রূপগঞ্জের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ডিগ্রি কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমে গতি বাড়াতে প্রায় অর্থশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিবেদনে সেসকল মাদ্রাসাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার জন্য এক তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। একই প্রতিষ্ঠানের মেরামত বাবদ আরও ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। উপজেলার মাঝিনা মৌজার আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন এবং একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য আরও ২০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি।
উপজেলার দেবই কাজিরবাগ আলিম মাদ্রাসার জন্য আড়াইকোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ, ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন এবং ল্যাব মেরামতের জন্য আরও ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চারিতালকু সিনিয়র মাদ্রাসার জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় একতলা বিশিষ্ট ভবন এবং মেরামত বাবদ আরও ১০ লক্ষ টাকার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কালাদি শাহাজুদ্দিন জামিয়া ইসলামিয় কামিল মাদ্রাসার জন্য দুই তলা বিশিষ্ট ভবন ও ল্যাব মেরামতের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। বড়ালু পাড়াগাও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি ৩ তলা ভবন, আড়াই কোটি টাকা ও মেরামত বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন মন্ত্রী। মুগড়াকুল মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি চারতলা ভবন, সাড়ে তিন কোটি টাকা এবং মেরামত বাবদ ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মর্তুজাবাদ দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার জন্য চারতলা ভবন এবং ল্যাব মেরামতের জন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন মন্ত্রী। পাচাইখি দারুস সালাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার জন্য ৩ তলা ভবন, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং মেরামত বাবদ আরও ১০ লক্ষ টাকা। বেলদি দারুল হাদিস আলিয়া মাদ্রাসার জন্য একটি ৪ তলা ভবন, একটি দোতলা ভবন, পাঁচ কোটি টাকা এবং ল্যাবের জন্য আরও ২৫ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি একতলা ভবন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং মেরামত বাবদ আরও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জিন্দাশাহ ইয়াসিন মহিলা মাদ্রাসার জন্য একটি একতলা ভবন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং মেরামত বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। পিতলগঞ্জ পশ্চিমপাড়া মোস্তফা ই সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি ৪ তলা ভবন ৩৫০ কোটি টাকা এবং মন্ত্রী গাজীর নিজস্ব অর্থায়নে একটি ১ তলা বিশিষ্ট ভবন করে দেয়া হয়েছে। রূপসি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি ৩ তলা ভবন, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং মেরামত বাবদ ১০ লাখ টাকা। রানীপুরা মাদ্রাসাতুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার জন্য একটি একতলা বিশিষ্ট ভবন ও মেরামত বাবদ ৩০ লাখ টাকা, হাজী আবু তাদের ভূইয়া মাহিলা আলিম মাদ্রাসার জন্য একটি ৪ তলা ভবন সাড়ে ৩ কোটি টাকা। গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসার জন্য ১তলা বিশিষ্ট ভবন প্রথম ধাপে ৮৫ লাখ টাকা ও মেরামত বাবদ ১০ লাখ টাকা, আল আরাফাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি একতলা ভবন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং আধুরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই ১৯টি মাদ্রাসায় বিগত ১৫ বছরে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক সরকারি বরাদ্দসহ নিজ অর্থায়নেও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছেন। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি কলেজ মিলিয়ে রূপগঞ্জের আরও প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভবন নির্মান এবং বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ হয়েছে মন্ত্রী গাজীর হাত ধরে।