রূপগঞ্জে ঋষিপাড়া-মধূখালী খাল বে-দখল, জলাবদ্ধতায় দূর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পিতলগঞ্জ মৌজার শতবর্ষি ঋষিপাড়া- মধূখালী খাল নামে পরিচিত পানি নিষ্কাকনের একমাত্রপথটি জোরপূর্বক বাNB-UPলি ফেলে ভরাট করায়  ও রাজউকের বালি গড়িয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে মধূখালী, গুতিয়াব, পিতলগঞ্জসহ ৫ গ্রামের লোকজনের বসতঘর, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক সময়ের ব্যস্ততম নৌপথ শীতলক্ষ্যা থেকে পিতলগঞ্জের ঋষিপারা হয়ে মধূখালী, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া, বাড়িয়া ছনি হয়ে  বালু নদী পর্যন্ত স্থানীয় বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পানি প্রবাহের পথ শতবর্ষি  ঋষিপাড়া মধূখালী খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।  বিগত ৭ বছর যাবৎ ৫ গ্রামের লোকজনের নিচু জমির বসতঘর, ফসলি জমির উপর জোরপূর্বক অনুমোদনহীন আবাসন কোম্পানী সোপান সিটি, আনন্দ পুলিশ হাউজিং আশালয়সহ  বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল বালি ফেলে ভরাট করে দখলে নিয়েছে।

শুধু তাই নয়, পিতলগঞ্জ, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া মৌজা দিয়ে  প্রবাহিত এ শতবর্ষি ঋষিপাড়া মধূখালী খালটিও ওই পক্ষ ভরাট করায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ বালি ভরাটের দখলে বাদ যায়নি পূর্বাচল উপশহরের ৩ নং সেক্টর এলাকার ঠিকাদারও । তারা তাদের জমি উন্নয়নের সময় এ খালেই বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে।

এতে মধূখালীর বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে  আলী আহমেদগংদের ১১ বিঘা, গুতিয়াবোর আশকার আলীর ৪ বিঘা, মধূখালীর, সাক্তদ আলীর ছেলে  হযরত আলী ও আনীস আলীর বসতঘরসহ ৫ বিঘা, দীল মোহাম্মদসহ স্থানীয় ৪০টি পরিবারের বসতঘর পানি আটকে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এসব পরিবারের লোকজন কাঠ ও বাঁশের সাকু দিয়ে নিজবসতঘরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। একই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সাগর বলেন, ৭ বছর যাবৎ খালটি বালি ফেলে ভরাট করায় পানি আটকে বাড়ি ঘর অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এ পানি দীর্ঘদিন আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ডেঙ্গুসহ নানা রোগবালাই বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, খালটি বালি ফেলে ভরাট করায় আমরা মধূখালী ও গুতিয়াবো এলাকার শতশত বাসিন্দা পানিতে  আটকে কষ্টে জীবন যাপন করছি। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবী শতবছরের পুরনো এ খালটি উদ্ধার করে স্থানীয় কৃষক ও জনসাধারনের  দূর্ভোগ লাঘব করার।

একই এলাকার বাসিন্দা জিন্নত আলী বলেন, খালটি বালি ফেলে  দখলে অংশ নিয়েছে রাজউকের পূর্বাচল শাখার ঠিকাদাররাও। তারা তাদের শহর উন্নয়নের কাজ করতে যেয়ে মাটি ভরাট করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে নাই। ফলে শহরের পানি গড়িয়ে এ খাল দিয়ে প্রবাহিত না হতে পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানু বলেন, খালটি উদ্ধারের জন্য একাধিকবার প্রশাসনকে নিয়ে দখলদারদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে দু:খজনকভাবে খালটির বেশ কয়েকস্থানেই পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসাদুজ্জামান বলেন, ঋষিপাড়া মধূখালী খালটি উদ্ধারের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িৎ  ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত