নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : চাষাড়া শহীদ মিনারে তরুণীকে উত্তক্ত করার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সৈয়দ রনি আলমকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় মিডিয়া সহ জাতীয় দৈনিকগুলোতে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন মামলার বাদী ও ভিকটিম ওই তরুণীর মা।
সৈয়দ রনি আমার মেয়ের ভালো বন্ধু এবং আমার ছেলের মতো উল্লেখ করে মামলার বাদী মিসেস মমতাজ বেগম বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখ রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার সময় আমি এবং আমার মেয়ে চাষাড়া শহীদ মিনারের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করার সময় মামলার ১নং আসামী অনিক (২২) আমার মেয়ের সাথে ইভটিজিং করলে আমি তার প্রতিবাদ জানাই। ওই সময় তারা আমাকে ও আমার মেয়েকে নানা ধরনের অশ্লীল মন্তব্য করেওে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আমার মেয়ের পূর্ব পরিচিত বন্ধু মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের জেলা সভাপতি সৈয়দ রনি আলমকে ইভটিজিংয়ের বিষয়টি জানালে ঘটনার সাথে জড়িত মূল ইভটিজার অনিক তার পরিচিত নয় এবং বিষয়টি সে সমাধান করতে পারবেনা বলে জানায়। তখন আমি ও আমার মেয়ে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। পরবর্তীতে রাতে এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দিতে গেলে দেখি সে মাটিতে অচেতন অবস্থা পরে আছে এবং তার পাশে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধের খোসা পড়ে রয়েছে। পরে দ্রুত পাশের বাসার লোকজনের সহায়তায় রাত আনুমানিক ২টার সময় মেয়েকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসি।
অ:তপর আমার পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করতে গেলে থানায় কর্মরত পুলিশ অফিসার শুরু থেকে থানায় যাওয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনা শুনে আমার মেয়ের সাথে ইভটিজিংকারী অনিক (২২) কে ১নং আসামী ও তার সহযোগী হিসেবে কানন (২২) কে ২নং আসামী এবং ৩নং আসামী হিসেবে রনি (২৮) নামে একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করার পর আমাকে সাথে নিয়ে পুলিশ চাষাড়া শহীদ মিনারে আসামীদের সনাক্ত করতে গেলে মূল আসামী অনিককে না পেলেও ঘটনার সময় যেহেতু তার পাশে কানন নামের ছেলেটি উপস্থিত ছিলো তাই কাননকে দেখতে পেয়ে তাকে সনাক্ত করি। সনাক্ত করার সাথে সাথে পুলিশ কাননকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে দেখলাম আমার মেয়ের বন্ধু মক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সৈয়দ রনি আলমকে ইভটিজিংয়ের ঘটনার সাথে জড়িয়ে এবং মামলার প্রধান আসামী উল্লেখ করে সম্পূর্ন ভুল তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ মামলার এজাহারে ৩নং আসামীর নাম শুধুমাত্র রনি (২৮) এবং তার পিতার নাম ও ঠিকানা অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু সৈয়দ রনি আলম আমার মেয়ের ভালো বন্ধু সেহেতু তার নাম ঠিকানা ও পরিচয় সম্পর্কে আমি ও আমার মেয়ে ভালোমতো অবগত রয়েছি।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, শহীদ মিনারে কাননকে সনাক্ত করার সময় সেখানে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ রনি আলম ও উপস্থিত ছিলো। আমার প্রশ্ন হলো সৈয়িদ রনি আলম ই যদি মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৩নং আসামী রনি (২৮) হয় তাহলে আমি পুলিশের সামনে তাকে কেন সনাক্ত করলাম না?
বিবৃতিতে মিসেস মমতাজ বেগম আরো উল্লেখ করেন, বিগত কয়েকদিনে যাবৎ আমাকে বেশ কিছু সংবাদকর্মী মামলার অগ্রগতি জানতে ফোন দিয়েছিলেন। আমি সকলকেই উপরোল্লেখিত বিষয়টি অবগত করেছি। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো কোন সংবাদ মাধ্যমেই প্রকৃত ঘটনাটি উল্লেখ না করে বরং আমার মেয়ের বন্ধু সৈয়দ রনি আলমকে জড়িয়ে কোন কিছু যাচাই বাছাই না করেই সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা আমার কাছে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠির উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং উস্কানীর বহি:প্রকাশ বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া সৈয়দ রনি আলমকে জড়িয়ে এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ হওয়া আমি ও আমার মেয়ে সামাজিকভাবে অনেক বিব্রত বোধ করছি।