নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা মূল্যের একটি মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি জিউস পুকুর রক্ষার দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ই ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে জিউস পুকুর এলাকায় এই সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যানারে আয়োজিত গণসমাবেশ হয় ।
সমাবেশে যেকোনো মূল্যে জীবন দিয়ে হলেও মেয়র ও তার পরিবারের কবল থেকে ওই মন্দিরের সম্পত্তি উদ্ধারে কঠোর শপথ নেন প্রতিবাদকারীরা। বলেন, মসজিদ–মন্দিরের সম্পত্তিতে হাত দিলে গণবিস্ফোরণ ঘটবে। মন্দিরের সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেছেন মেয়র আইভী। মন্দিরের সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে রাজী আছেন ওই নেতা।
ওই সময় হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে জিউস পুকুর ঘেরাও করে সমাবেশে একাতত্মা ও সংহতি প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, জেলা মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। এক পর্যায়ে গণসামবেশ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে বৃহত্তর সমাবেশের রূপ নেয়।
সমাবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই মর্মে শপথ করেন, মেয়রের পরিবারের কবল থেকে মন্দিরের সম্পত্তি উদ্ধারে চিতায় জ্বলতে দ্বিধাবোধ করবে না তারা। ওই সময় সমাবেশে সম্প্রতি বিভিন্ন সময় সিটি সমাবেশে মেয়র আইভী দ্বারা ফতুল্লার মাসদাইর কবরস্থান জায়গা থেকে মাদরাসা উচ্ছেদ, নিরীহ হকার উচ্ছেদ, শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদে অপসারণে চিঠি, শহরের কেন্দ্রীয় ডিআইটি মসজিদের জায়গা দাবি, শহরের ঐতিহ্যবাহী রহমতউল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে ফেলা, শহরের পাইকপাড়া ১৩নং ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে উদ্বোধনকৃত বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে ভবনের কক্ষ ভেঙে ফেলাসহ নানা বিতকির্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, সমাবেশে আইভীর এসব বির্তকিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে উল্টো একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ওই সময় সামবেশে আগতরা ক্ষোভে আইভীর নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আইভীর এসব অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রত। মন্দির অথবা মসজিদের ওয়াকফাহ সম্পত্তি দখল বা অপসারণের নামে কোনো রকম দলীয় ইমেজ সংকটে ফেলতে দেবে না নেতা কর্মীরা। এ মর্মে সমাবেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোবাকালে করার প্রস্তুতি নিতে সম্মত হয়।
গণসামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নারায়ণগঞ্জ নগরী স্থাপনের সময়কালে শ্রী ভিকন লাল ঠাকুর শহরের দেওভোগ আখড়া এলাকায় দেবতা লক্ষ্মী নারায়ণের নামে শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর বিগ্রহ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । শত বছর ধরে এই মন্দির নারায়ণগঞ্জের লাখো হিন্দু ধর্মাবলম্বীর কাছে পবিত্র ও শুদ্ধর কেন্দ্র। স্বর্গবাসী ভিকন লাল পান্ডে মন্দিরটির পাশে পূজা–অর্চনা ও আশপাশের অধিবাসীদের সুবিধায় ৩৬৭ শতাংশ জমির ওপর একটি পুকুর খনন করান, যা স্থানীয়দের কাছে জিউস পুকুর নামে পরিচিত। কিন্তু আমাদের এই মন্দিরের সম্পত্তি নাকি এখন মেয়র আইভী ও তার পরিবারের সম্পত্তি।
তিনি আরো বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখল করা দুর্বৃত্তদের কাজ। প্রচলিত আইনে দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ। অথচ জাল দলিল করে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা করছে মেয়র আইভী ও তাঁর পরিবার। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে নিজের স্বার্থ রক্ষার। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতে ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বারকলিপি দিয়েছি। আমরা আমাদের ধর্মের এ আমানত রক্ষায় প্রয়োজনে চিতাদাহ হতে প্রস্তুত আছি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষর্দে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল চ্যাটার্জী বলেন, ভূমি জরিপের সিএস (ব্রিটিশ) পর্চায় এই বিশাল সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমল থেকে দেবোত্তর এই সম্পত্তি দখল করতে উঠেপড়ে লাগে মেয়র আইভীর পরিবার। যে নকল দলিল করে এই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে মেয়র আইভীর মা, দুই ভাই এবং আত্মীয়–স্বজনের নাম রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নৌকার পাল বাতাসের অনুকূলে আছে। আর সেই নৌকা প্রতীক নিয়ে আইভী মেয়র হয়ে ভূমি দস্যুতা করবে সেটা কখনওই আমরা মেনে নেব না। আর শেখ হাসিনাও ভূমি দস্যুতা পছন্দ করেন না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখলের বিষয়ে আইভী বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলায় মেয়র আইভী আমার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেছেন। আমি আইভীকে বলতে চাই, আমি একজন হিন্দুর ছেলে বলে এখানে আসি নাই। এসেছি নারায়ণগঞ্জের একজন সন্তান হয়ে। ওই সময় খোকন সাহা মেয়র আইভীর পরিবার যে ৬টি জাল দলিল সৃজন করে জিউস পুকুর দখলের পাঁয়তারা করছেন দলিল নাম্বারসহ সেগুলি জনসমক্ষে প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের ধর্মের জ্ঞানী যাদেরকে আলেম বলে। তাদের একজনের কাছ থেকেই শুনলাম। মুসলমান ধর্মেই নাকি আছে কেউ কারো এক চিলতে পরিমাণ জায়গা অন্যায়ভাবে দখল করলে হাশরের মাঠে আপনার গলায় সাত তবক পরিমাণ জমিন ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। মুসলমান হয়ে এসব জেনেও আপনি মেয়র হয়ে কিভাবে এরকম হীন কাজ অংশীদার থাকতে পারেন। আপনি মন্দিরের সম্পত্তি দখলের নামে হিন্দু ভাই–বোনদেও অগ্নি পরীক্ষায় ফেলবেন না।
তিনি আইভীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভোটের সময় সিথিতে সিঁদুর দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। আর ভোট চলে গেলে এখন মন্দিরের সম্পত্তিতে সিঁধ কাটতে এসেছেন। আপনার সিথিতে সিঁদুরের নেপথ্যে জানতে আমাদেও আর বাকী নাই। ধর্ম নিয়ে নাটক কোনো ধর্মই পছন্দ করে না।
ওই সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ২৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। মেয়র আইভীর আপনি কখনো মসজিদ, কখনো মন্দির, আবার কখনো বঙ্গবন্ধুর হাতে উদ্বোধনকৃত স্কুল ভেঙে দেন। আপনি নাকি আওয়ামী লীগ করেন। যখন দেখি আপনার এসব কাণ্ডে প্রাণের দল আওয়ামী লীঘ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তখন আর চুপ থাকতে পারি না। বিশেষ করে যার যার ধর্ম তার তার কাছে স্পর্শকাতর স্থান। আপনি সেখানেও হাত দিয়েছেন। মেয়রকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, এর আগে আপনি নানা ইস্যূতে জেলার ত্যাগী নেতা কর্মীদের নামে মামলা দিয়েছেন। নেতা কর্মীদের ধের্য্যরে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। মামলা দেন জেল খাটান। কিন্তু মন্দিরের সম্পত্তি আপনাকে দখল করতে দেব না।
নারায়ণগঞ্জ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল বলেন, শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও মুসলমান পাড়া প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে জানলাম মেয়র আইভী শুধু মন্দির–ই নয় মসজিদের জায়াগা অপসারণ ও মাদরাসা উচ্ছেদ করেছেন। নিজের পছন্দ মতো মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে ইমাম নিয়োগ দিয়েছেন। ডিআইটি মসজিদেও খতিব নিজেও এসব বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি আওয়ামী লীগ করে দলকে আর বিতকির্ত করবেন না। দলের নেতা কর্মীদের ধৈর্য্যের সীমা আছে। মন্দিরের সম্পত্তি দখলে আপনি যে স্বপ্ন দেখেছন তা স্বপ্ন–ই থেকে যাবে। দেখেন আজ সমাবেশে শুধু হিন্দু না, মুসলিম ভাইসহ অন্যান্য ধর্মের ভাইয়েরা মসজিদ মাদরাসা মন্দিরের জায়গা দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে।
সিটি মেয়র আইভী দ্বারা শহরের পাইকপাড়া ১৬নং পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি কক্ষ ভাঙচুরের বিষয়ে ওই স্কুল এলাকার সিটি করপোরেশেনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু সাংবাদিকদের বলেন, জানুয়ারি ২৬–২৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধুর হাতে উদ্বোধনকৃত বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক স্কুলটি ভাঙচুরের জন্য ভেকু পাঠান সিটি মেয়র আইভী। পরে একটি কক্ষ ভেঙেও ফেলে। পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী গিয়ে ওই স্কুলটি রক্ষা করি।
শহরের ঐতিহ্যবাহী রহমতউল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউ ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেটস্থ রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবন সম্প্রতি কয়েক বছর আগে ভেঙে ফেলে সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে দোকান মালিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মামলা চলছিল। এ ভবন ভাঙতে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছিল। মুসলিম সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য ১৯৪৩ সালে রহমত উল্লাহর নামে তৎকালীন মহকুমার প্রশাসক টিনের ঘর নির্মাণ করে রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট গঠন করা হয়। স্বাধীনতার আগে ও পরে এখানে নাটক, সঙ্গীত, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে এখানে টিনের ঘরের পরিবর্তে ৩ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। আর এ ইন্সটিটিউটের সভাপতি হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।
তিনি আরো বলেন, ভবনটিতে কনফেকশনারী, ফ্রিজ, এসি, সেলাই মেশিন, টেইলার, সুতা, রাবারের দোকানসহ প্রায় ৩৫টি দোকান ছিল। প্রতিটি দোকানেই লাখ টাকার পণ্য ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি তাদের কোনো সময় দেওয়া হয়নি। সকাল বেলা ভবন ভাঙার জন্য এক্সকাভেটার নিয়ে এসে সরাসরি ভাঙা শুরু করে। ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল সরাতে পারেননি। এতে করে ক্ষতির মুখে পরেছেন ব্যবসায়ীরা। পথের ভিখারী হয়ে ঘুরছেন অনেকে। আইভীর এসব কর্মকাণ্ডে আমরা সত্যিই খুব বিব্রত।
শহরের বাগে জান্নাত মসজিদের মুসল্লী আরাফাত ইসলাম সুজন বলেন, ইতমধ্যে আইভী মসজিদের পাশে একটি মাদরাসা উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছেন। এ ছাড়া মসজিদটি ভেঙে সেখানে নতুন মসজিদে করে দেবেন বলে নানা প্রতিশ্রতি দিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন। আমাদের সাফ কথা মসজিদ বা মাদরাসায় হাত দিলে মেয়র আইভীকে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে। বহু সহ্য করেছি।
হকার উচ্ছেদ ও ইস্যু নিয়ে শহরের হকার নেতা বিল্লাল বলেন, আমাদের পেটে লাথি দিয়ে উঠানো হয়েছে। হকার নাকি অবৈধ। মসজিদ মন্দির রেলওয়ের জায়গা দখল কি বৈধ। শহরের কোনো বিল্ডিং এ পার্কিং প্লেস নেই। সেটা কি বৈধ। আইভীর সব নিয়ম শুধু গরিবের পেটে লাথি মারতে গ্রহণ করা হয়। আমাদের জন্য এমপি শামীম ওসমানকে পর্যন্ত আসামি করে মামলা করেছেন এই আইভী।
সিটি মেয়র আইভীর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ– ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান মুঠোফোনে জানান, আমরা এখন করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দলীয় নেতা কর্মীদের এসব বিষয় খুব ধৈর্য্য নিয়ে নীরব রয়েছে। এগুলো দল ও কেন্দ্র দেখবে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছি। তাই দলকে যে–ই বিতর্কিত করবে তারা কেউ দলের পর্যবেক্ষণের বাইরে নয়।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি দীপক কুমার সাহা। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসিন মিয়া, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, সদর উপজেলার সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডল।
সংহতি জানান, কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, আব্দুল করিম বাবু, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এর আগেও হিন্দু সম্প্রদায় রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি জিউস পুকুর রক্ষায় গত বছরের ২ ডিসেম্বর চাষাঢ়া শহীদ মিনারে গণ অনশন ও ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।