নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশর জন্ম হতো না। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৮০০০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বাসস্থান দিবে সরকার। তবে যাদের বাড়ি নাই শুধু তাদেরকে এ আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই এরজন্য ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন নবনির্মিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একে এম সেলিম ওসমানের সার্বিক তত্বাবধায়নে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এ.কে.এম শামীম ওসমান, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ এড. হোসনে আরা বাবলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মেহাম্মদ আলী, ডেপুটি কামান্ডার এড. নুরুল হুদা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগম, সোনারগাঁ উপজেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সামি উল্লাহ মিলন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারন সম্পাদক আবু হাসানাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কামার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজল সহ সাতটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের ডিজাইন একই করা হবে। সকল মুক্তিযোদ্ধার ১০ মিনিটের বক্তব্য সংরক্ষন করা হবে। যাতে করে সারাজীবনের জন্য তাদের কথা জাতি শুনতে পারে। মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু হলেও তাদের কথা মানুষ শুনবে। এটাও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সকল সড়কের নামকরণে বাস্তবায়ংন করবে সরকার। এই সরকার মুক্তযুদ্ধের সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে এ দেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে ফেলবে। তাই এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ চেতনা বেঁচে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বর্নাঢ্য র্যালি করেছে নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা। লাল সুবজ রঙের টি-শার্ট, মাথায় টুপি, বাঙ্গালী ঐতিহ্যের বাঘ- পাখির মুখোশ, প্ল্যার্কাড, বাদ্য বাজনা, ঘোড়ার গাড়ি সহ নানা আয়োজনে র্যালিটি দৃষ্টি আকর্ষন করে। সকাল ৯টা থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাষাঢ়ায় আগত হতে থাকে বীরমুক্তিযোদ্ধারা। র্যালিতে অংশগ্রহনকারী কেউ কেউ সেজেছেন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। চাষাড়ার থেকে শুরু হওয়া র্যালীটি বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে গিয়ে শেষ হয়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান র্যালির উদ্বোধন করেন।