নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির সভাপতি ও ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেছেন, কেন একজন মুক্তিপণ দাবী করা অপরাধী এ্যারেষ্ট করা সত্ত্বেও এই থানা থেকে সে মুক্তি পাবে এবং সে দায়বার কেন সকল মানুষ নিবে? আজকে যারা অপহরণ করে, যারা মুক্তিপন দাবী করে তাদেরকে নিয়ে আজকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন স্মারক লিপি দেয়া হয়। তাহলে আমি প্রশ্ন করতে চাই, কার হুকুমে ওই আসামীকে এ্যারেষ্ট করা হলো এবং কে ওনাকে জামিন দিলো। মামলার ফাইনাল রিপোর্টে ওই আসামীর নাম নাই কেন? এ প্রশ্নগুলো আমি আজ কামরুল ভাইয়ের (ওসি) কাছে রেখে গেলাম। আপনারা তদন্ত করে দেখবেন। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্তে নারায়ণগঞ্জে ব্যাংক কর্মর্কতা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আইনের ফাঁক দিয়ে যেন কেউ বের হয়ে না যেতে পারে। অতীতে অনেক অপরাধীরা আইনের ফাঁকে বের হয়ে গেছে বা কোন পুলিশের যোগসাজসে বের হয়ে গেছে, ওই দায়ভার সকল নিরাপদ মানুষের উপর বর্তায়।
কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেন, রমজান আসলে আমাদের মা বোনদের আসলেই সমস্যা হয়। মা বোনেরা মার্কেটে কেনাকাটার জন্য বের হলে তখন তাদের ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হয়। এরেকটা সমস্যা হয়, মফস্বল থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের হোসিয়ারীতে যখন মাল কিনতে আসে, ওই মলম পার্টিরা তাদের চোঁখে মলম দিয়ে টাকা পয়সা লুট করে নেয়। এসব করে আমাদের ব্যবসয়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই দুইটার কারণে রমজানে আমাদের আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে থাকতে হয়।
তিনি আরো বলেন, রাস্তার উপর ট্রাক রেখে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাট লুট করা হয়। ট্রাকগুলো তারা এমন ভাবে রাখে যাতে পুলিশ সেখানে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। এধরণের ঘটনা অতীতে হইছে, আমরা দেখেছি। আমরা বলতে চাই, এ প্রশাসন যেভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরকে পরিচ্ছন্ন করে তুলছেন আমরা ধন্যবাদ জানাই নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে। আপনারা মাদকের ব্যপারে, সন্ত্রাসের ব্যপারে যেভাবে কাজ করছেন, অতীতে যদি এটা চলমান থাকতো, তাহলে হয়তো নারায়ণগঞ্জবাসী এতদিনে আরো সুন্দর একটা নারায়ণগঞ্জ উপহার পেতো।
সদর থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মো. কামরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতা শংকর কুমার সাহা ও ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান।