নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিক উন্নয়ণ ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ পলাশ।
১০ নভেম্বর শনিবার সকালে ধানমিন্ড আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পলাশের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ফতুল্লা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্টস ফেডারেশনের আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউসার আহম্মেদ পলাশ বলেন, মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। আমাদের নেত্রীও একই ধারায় বিশ্বাস করেন। তিনি এবার বেশ কিছু নতুন মুখ সংযোজন করবেন। সে হিসেবে আমি নিজেকেও মাঠ জরিপের ভিত্তিতে যোগ্য মনে করি। আল্লাহ চাইলে অবশ্যই আমি মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রাখি। বাকিটা নেত্রীর ইচ্ছা।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন কাউসার আহমেদ পলাশ। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলচিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে কাউসার আহমেদ পলাশ তার পক্ষে ব্যাপক কাজ করেন। ফলে অল্প ব্যবধানে জয়ী হন কবরী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগের টিকেটে এমপি হন শামীম ওসমান। এমপি হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের রোষানলে পড়েন শামীম ওসমান। এ আসনে সজ্জন ও হেভীওয়েট আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে কাউসার আহমেদ পলাশের গ্রহণযোগ্যতা আছে।
বিশেষ করে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় মেয়রসহ অর্ধশত আহত হন। এ ঘটনার আগের দিন চাষাড়ায় হকারদের সাথে এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসার নির্দেশ দেন শামীম ওসমান। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে সমালোচিত হন। এরপর পরপরেই হঠাৎ এক কাজের পরিদর্শন করতে আলীগঞ্জে কাউসার আহমেদ পলাশের বাসায় আসেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সর্বস্থানে তখন থেকেই কাউসার আহমেদ পলাশকে এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেভীওয়েট প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৫ ডিসেম্বর।
তফসিল ঘোষণার পর ৯ নভেম্বর শুক্রবার প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্রের ফরম বিক্রি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে এই ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এ ছাড়াও এ দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জন্য আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, আবু সুফিয়ান, অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে কামাল উদ্দিন মৃধা, নাহিদা বেগম। নারায়ণগঞ্জ-৩ থেকে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, মাহফুজুর রহমান কালাম।