নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমান এবং বতর্মান ৪ ও ৫ আসনের দুই সাংসদ একেএম শামীম ওসমান ও একেএম সেলিম ওসমানের রত্নগর্ভা মাতা নাগিনা জোহা (৮১) আর নেই। ৭ ই র্মাচ সোমবার সকাল ১:১০ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইহকাল ত্যাগ করেছেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রজিউন। গত শনিবার থেকে ওনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। বাদ আছর খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল সংলগ্নে মরহুমার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে জানাযায় অংশগ্রহন করার জন্য আহ্বান মরহুমার পরিবারের।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান ভাষা সৈনিক এ কে এম শামছুজ্জোহার স্ত্রী নাগিনা জোহাকে বাধ্যর্ক জনিত অসুস্থ্যতার কারনে গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুর ১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন।
নাগিনা জোহা ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের অধীনে এস.এস.সি পাস করেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহেব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি বায়তুল আমান ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।