বিলুপ্তির পথে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন নওগাঁর হলুদ বিহার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নওগাঁ প্রতিনিধি, মো. মিলন হোসেন ) : নওগাঁর বদলগাছীতে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন হলুদ বিহার। ঐতিহাসিক হলুদ বিহার এখন গোচারন ভূমিতে পরিনতি হয়েছে। এতে বিলুপ্ত হতে চলেছে ইতিহাস ঐতিহ্যের নিদর্শনটি প্রাচীন এ বিহারটির উপর কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের হলুদ বিহার গ্রামের এক প্রান্তে মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছে এই দ্বীপ। ইতিহাস ও প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন এই দ্বীপে নজর পড়লেই দর্শকরা আকৃষ্ট হয়ে পরে। আসলে এটি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ ছিল। এক সময় গাছ-গাছড়া ঝোপ-জঙ্গলে পরিপূর্ন উচু একটি দ্বীপ। দ্বীপের মাথায় ছিল একটি বড় গাছ। যার নিচে ছিল একটি গভীর কূপ। দ্বীপের ঝোপ-জঙ্গল আর গাছ পালা কেটে ফেলাই আগেই কূপটি ভরাট হয়ে যায়। পরবর্তিতে দ্বীপটি সংস্কার কালে এ কূপের কোনো অস্তিত্য খুজে পাওয়া যায়নি। আসে পাশের লোকজন দ্বীপের চতুর ধারে মাটি কেটে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছে। মাটি কাটার এক পর্যায়ে দ্বীপের পূর্ব দিকে ইটের সিড়ি বের হয়। তখন এলাকাই তোলপার সূষ্টি হয়। তার পরেই এই দ্বীপটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত বিভাগের অধীনে নেওয়া হয়। হলুদ বিহার গ্রামে ছিল অনেক গুলো বিক্ষিপ্ত ধিপি তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পুরনো ইট ভাঙ্গা মৃত্য শিল্পের অনেক নিদর্শন। এ থেকেই এখানে বৌদ্ধ বসতির প্রমান মিলে। ১৯৭৬ সালে দ্বীপ টি সংরক্ষিত করা হয়।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত বিভাগ প্রথমবারের মত খনন কাজ শুরু করে। ১৯৯৩ সালে ২য় বার খনন কালে দ্বীপের অভ্যন্তরে একটি মন্দিরের দেখা মেলে। বেশ কিছুু প্রাচীন নিদর্শন সামগ্রী মানুষের সৃতি সংকলিত ভাঙ্গা পোড়া মাটির কলস পাথর সামগ্রী ও মূর্তির স্তম্ভ মূল অলংকারে ঢালাই ছাদ এবং চুনা যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনিক উদাসিনতা ও সংরক্ষনের অভাবে প্রাচীনতম এ নিদর্শন গুলো আজ প্রায় বিলপ্ত হতে বসেছে।

হলুদ বিহার গ্রামের টিক্বা, রুস্তম আলী বলরামপুর গ্রামের চঞ্চলসহ অনেকে জানায় বিহারটি দ্রুত বাউন্ডারি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া সহ সংস্কার ও সংরক্ষনের প্রয়োজন। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কাষ্টডিয়ান আবু সাঈদ ইনাম তানভিরুল জানান, বিহারটি নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, এখানে আরো খননেন প্রয়োজন। চতুর দিকে তারকাটা দিয়ে আটকিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে সাধারণ লোকজন বিহারটি দেখতে পায়। এ ছাড়াও বিহারটি ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা আছে। বিহারটি দেখা শোনার জন্য আবু বক্কর নামে এক কর্মী নিয়োজিত রয়েছে বলে জানা যায়।

add-content

আরও খবর

পঠিত