বিজয় দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের পতাকা র‌্যালি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জাতীয় পতাকা র‌্যালি ও  শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে এসে র‌্যালিটি শেষ হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে সন্ত্রাস-দূর্নীতি-ধর্ষণ ও খুনবিরোধী অঙ্গিকারনামা পাঠ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা অঙ্গিকারনামা গ্রহণ করে।

জেলার সভাপতি শুভ দেবের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অঙ্গিকারনামা পাঠ করান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড। এছাড়াও জেলার সহ-সভাপতি শুভ্র কুমার, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়া আক্তার, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক তাকবীর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংগঠক সাইদুর রহমান সহ বিভিন্ন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।

মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হতে চললেও প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ আমরা পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শহীদরা যে কারণে আত্মদান করলেন তা আজও অর্জিত হয়নি। পক্ষান্তরে আমরা দেখেছি শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিভিন্ন শাসকরা গত ৪৮ বছর ধরেই বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার উল্টোপথে পরিচালনা করেছে। তবে আশার বিষয়, জনগণ এই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে। এই ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

শুভ দেব তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে দেশের কতোটা খারাপ পরিস্থিতি তা আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারি। আমরা দেখছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নূন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারছে না। একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনী যেমন বর্বর কায়দায় দেশের মেধাবী বুদ্ধিজীবিদেরকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে, ঠিক একই কায়দায় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যায়ের ক্যাম্পাসগুলোর হল থেকে ছাত্রদের ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার। একাত্তরে দেশের সূর্যসন্তানরা যেভাবে পাকিস্তানী শাসকদের অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো, ঠিক একইভাবে বর্তমানের এই অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে তাঁরা সেই সময়ের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে উঠেছিলেন, আমাদেরও উচিত সময়ের প্রয়োজনকে উপলব্ধি করে বর্তমান সময়ের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে উঠা। আর মহান বিজয় দিবস সেই অনুপ্রেরণারই ডাক দিয়ে যায়।

add-content

আরও খবর

পঠিত