নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : করোনা সংকট মোকাবেলায় রজমান মাসে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সহযোগীতার ঘোষণার পর তৃতীয় ধাপে আরো ৫ হাজার পরিবারের মাঝে সেই সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার পরিমান ৪৫ লাখ টাকা। এ নিয়ে ঘোষিত সহযোগীতার ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মাঝে তিন ধাপে মোট ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। আর এমপি সেলিম ওসমানের ঘোষণা অনুযায়ী ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজের মধ্য ডাক্তারদের জন্য প্রদান করা ২০ লাখ টাকা সহ এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার ১১ মে তৃতীয় ধাপে ওই ৫ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০ জন করে ২জনের মাধ্যমে ১হাজার জন এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ১হাজার জন করে মোট ৪টি ইউনিয়ন এলাকায় ৪হাজার জনকে প্রেরন করা হয়েছে।
সহযোগীতা প্রেরণ করা এলাকা গুলো হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ বিভা হাসান এর মাধ্যমে সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬,১৭,১৮, ও কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খোরশেদের মাধ্যমে ১৩নং ওয়ার্ড এলাকা। ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর মধ্যে বন্দর, কলাগাছিয়া, ধামগড় ও মুছাপুর ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আমার কাছে তালিকা প্রেরণ করতে বিলম্ব করেছেন আবার অনেকের প্রেরিত তালিকায় অনেক ভূল ভ্রান্তি রয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগীতা পৌছে দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এজন্য আমি সাধারণ মানুষের কাছে আন্তরিক ভাবে দু:খ প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, এমপি সেলিম ওসমানের ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১, ১২, ১৪, ১৯, ২০, ২৩, ২৪, ২৫নং ওয়ার্ড ও সরক্ষিতি ১১,১২ ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এবং ১৮নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না মাধ্যমে ৫ হাজার পরিবারের কাছে সেই সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার পরিমান ৪৫ লাখ টাকা। প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় ৫০০জন করে এই সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। ওই ৫ হাজার মানুষের বিকাশ একাউন্ডে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে প্রেরন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫, ১৬, ২২, ২৬নং ওয়ার্ড ও নারী কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১৩,১৪,১৫ এবং ২৫,২৬,২৭নং ওয়ার্ডে ৫০০ জন করে ৩ হাজার। ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ১ হাজার জন করে আলীরটেক, গোগনগর ও মদনপুর ইউনিয়ন এলাকায় ৩ হাজার জন সহ মোট ৬ হাজার পরিবারের মাঝে ৫৪ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এমপি সেলিম ওসমান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।