নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বৃহত্তর মাসদাইর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)। সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মতিউর রহমান প্রধান নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে টাকার খেলা শুরু হয়েছে। পলাতক ছাত্রদলের নেতা জাকির খানের আত্মীয় আব্দুল কাইউম সাধারণ সম্পাদক হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হলেন আশরাফ আহমেদ। এরমধ্যে আশরাফ অতীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ করলেও কাইউমের কোন পদ নেই। সে নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিলেও অতীতে তার পরিবারের সবাই বিএনপির সমর্থক ছিলো।
আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা জানান, কাইউমের বাবা আগে ট্রাকের ড্রাইভার ছিলো। তার বড় ভাই দীন ইসলাম মালয়েশিায় গেলে সেখানে তিনি মানব পাচারের ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়। এছাড়া দীন ইসলাম ও কাইউম মিলে হুন্ডি ব্যবসাও করে। কাইউমের ছোট ভাই জুয়েল নিজে সারা দিন মাদক সেবন করে আর মাদক বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, কাইউম কোন পদে না থেকেও গত ১১ বছরে যুব লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি কামাই করেছে। সে ও তার ছোট ভাই জুয়েল বিসিকের ১০/১২ টি গার্মেন্টস-নিটিংয়ের ঝুট দখলে নিয়েছে। এছাড়া এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসাও কাইউমের দখলে।
তারা জানান, কাইউম খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাই নিজে আওয়ামী লীগ সেজে সম্প্রতি ছাত্রদলের পলাতক নেতা সন্ত্রাসী জাকির খানের মামাতো ভাইয়ের ছেলের কাছে নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা করেছে। এদিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে দুই হাতে টাকা ছড়াচ্ছে কাইউম। তার হয়ে মাঠে নেমেছে কয়েকজন দালাল প্রকৃতির লোক। তারা বিভিন্ন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে নেতা ম্যানেজ করতেও মাঠে নেমেছে। সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সাধারণ সম্পাদক হতে চাইছে কাইউম। আক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতারা জানান, যেখানে দলের সভানেত্রি বলেছেন অনুপ্রবেশকারী যেন দলে প্রবেশ করতে না পারে সেখানে মাসদাইরে টাকার বিনিময়ে নেতা বানানো হচ্ছে।
এদিকে দুইজন সেক্রেটারী প্রার্থীকেই অযোগ্য বলে মনে করছেন মাসদাইরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, একজন বিএনপি ঘরানার ও বিতর্কিত হুন্ডি ব্যবসায়ী। আরেকজন সক্রিয় থাকলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা নাই।