বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের দাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্যের বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে। কেউ পুরো মাসের জন্য, কেউ আবার দু-এক সপ্তাহের জন্য কিনছেন তেল, ছোলা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা ধরনের পণ্য।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর নিতাইগঞ্জ ও দ্বিগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরুতে দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকে আগেভাগেই রোজার পণ্য কিনছেন।

তবে বাজারে ছোলা, চিড়া, মুড়ি, ডাল, গুঁড় প্রভৃতি পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বেশি থাকায় এক মাস আগের তুলনায় ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকা কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০-৮০ টাকা, আখের গুঁড় ১৪০-১৮০ টাকা, খেজুরের গুঁড় ২৫০-৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি মসুর ও মটর ডালের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। ভালো মানের মসুর বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, মটর ডাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ভালো মানের বেসন ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সবজির দাম গড়ে ৪০ টাকার আশপাশে রয়েছে। কেজিপ্রতি বেগুন ৪০-৮০ টাকা, শসা ৩০-৪০, টমেটো ২০-৩০, কাঁচা মরিচ ৪০-৬০ ও আলু ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা ১২০-১৮০ টাকা, চায়না রসুন ২০০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লেবুর দাম বেড়েছে। এক হালি (৪টি) লেবুর দাম ৪০-১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

লেবু কিনতে আসা গার্মেন্টস কর্মী মহসিন দেওয়ান বলেন, “রবিবার থেকে রোজা শুরু, কিন্তু লেবুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। ভালো মানের লেবু কিনতে হলে ১২০ টাকা পর্যন্ত লাগছে।”

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট কিছুটা অব্যাহত রয়েছে। দ্বিগুবাবুর বাজারের কিছু দোকানে স্বল্প পরিমাণে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও দাম বেড়েছে। নির্ধারিত ১৭৫ টাকার পরিবর্তে ২০৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারেও কিছুটা দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস হাঁড়সহ ৭৫০-৮০০ এবং শুধু মাংস ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ৫০-১০০ টাকা বেড়ে ১,০৫০-১,১০০ টাকায় উঠেছে।

ভোগ্যপণ্যের বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম কিছুটা কম। তারা আশা করছেন, রমজানের শুরুতে আরও দাম কমবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত